বাবা-মা-স্বামী ভিন্নধর্মের, তবুও মুসলিম পদবী ব্যবহার করেন দিয়া

অনলাইন ডেস্ক : বলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। তার মিষ্টি হাসিতে আজও মজে পুরুষ-মন। গালের টোলে আটকে কত সহস্র হৃদয়। বর্তমানে অভিনয় থেকে খানিকটা দূরে থাকলেও খুব শিগগিরিই আবারও শোবিজাঙ্গনে ফেরার কথা নায়িকার।

দিয়ার বাবা ছিলেন খ্রিস্টান ধর্মালম্বী। মা ছিলেন হিন্দু। তবুও তিনি ব্যবহার করেন মুসলিম পদবী। কিন্তু কেন?

তার এই পদবী ব্যবহার করার নেপথ্যে রয়েছে এমন কিছু কারণ যা জানলে আবেগপ্রবণ হয়ে যেতে পারেন তার ভক্তরাও।

দিয়ার যখন মাত্র ৪ বছর বয়স তখন বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। তার বাবার পদবী ছিল হ্যান্ডরিচ। দীর্ঘ সময় অবধি নিজের পদবী হ্যান্ডরিচই ব্যবহার করতেন দিয়া।

আরও পড়ুনঃ   হলিউডে ‘বি-গ্রেড’ ছবিতে অভিনয়ের কারণ জানালেন প্রিয়াঙ্কা

৯ বছর বয়সে মারা যান অভিনেত্রীর বাবা। মা পরে আবার বিয়ে করেন। দিয়ার সৎ বাবার নাম আহমেদ মির্জা। ছোট্টবেলা থেকেই দিয়াকে ভালোবাসায় জড়িয়ে রাখতেন তিনি।

অভিনেত্রীর কথায়, ‘বড় হচ্ছিলাম। বুঝতে পারলাম সৎ বাবা নয়, উনি আমার নিজের বাবার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। এতটাই ভালবাসতেন। তাই যখন মিস ইন্ডিয়ায় অংশ নিলাম, নিজের ইচ্ছাতেই হ্যান্ডরিচ পদবী সরিয়ে মির্জা পদবীকে আপন করে নিলাম।’

আরও পড়ুনঃ   বীভৎসভাবে ফুলে গিয়েছে সায়ন্তিকার পায়ের পাতা

দিয়া জানিয়েছেন ধর্ম পরিবর্তনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। সৎ বাবার প্রতি ভালোবাসা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

দিয়ার তখন মাত্র ২৩ বছর। মারা যেন আহমেদ মির্জাও। মুষড়ে পড়েন অভিনেত্রী। তার কথায়, ‘একই জীবনে দুই দুই বার বাবা হারালাম। ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলাম সে সময়।’

দিয়ার ব্যক্তিগত জীবনেও একসময় এসেছিল উথালপাথাল। ব্যবসায়ী সাহিল সঙ্ঘের সঙ্গে তার বিয়ে ভাঙে ২০১৯ সালে। ঠিক দুই বছর পর আবার নতুন করে ভালোবাসা খুঁজে পান অভিনেত্রী। বিয়ে করেন বৈভব রেখিকে। তাদের বর্তমানে এক সন্তান রয়েছে।