নাটোরে চালকলের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল দেড় কোটি টাকা!

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর সদরের লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া গ্রামের একটি চালকলের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১ কোটি ৫২ লাখ ৫১ হাজার ৩১১ টাকা। বিলের একটি কপি ঢাকা পোস্টের কাছে এসেছে। যা নিয়ে এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের আমিরগঞ্জের আব্দুর রহিমের ছেলে মো. জালাল উদ্দিন আলোচিত এই চালকলটির মালিক।

জানা গেছে, চালকল হিসেবে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করলেও বর্তমানে এখানে ধান-চাল মাড়াই করা হয় না। দেশের বৃহত্তম প্রধান ওষুধি গ্রাম লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়ার ভেষজ চাষীদের উৎপাদিত ভেষজ পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ (গুড়া) করার কাজে এই চালকলটি ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুনঃ   তিস্তাপাড়ে আপাতত বন্যার শঙ্কা নেই, পানি বিপৎসীমার নিচে

চালকলের মালিক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, গত এক বছরের হিসাব মতে গড়ে প্রতিমাসে এই মিলে বিদ্যুৎ বিল আসে ১৫ হাজার টাকা। বিভিন্ন ব্যস্ততায় আমি বেশকিছু দিন প্রতিষ্ঠানে আসতে পারেননি। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মিলে এসে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেখে আমার মাথা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। বিলে গত ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১ কোটি ৫২ লাখ ৫১ হাজার ৩১১ টাকা বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

এরপর সঙ্গে সঙ্গে বিলের কাগজ হাতে নাটোর শহরের ফুলবাগানে অবস্থিত নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর সদর দপ্তরে যাই।

তিনি বলেন, এ সময় বিলিং সহকারীদের কাছে অভিযোগ জানালে তারা সমস্যার কোনো সমাধান না করে উলটো আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।

আরও পড়ুনঃ   আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত নেই ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা

নাটোর পল্লী বিদ্যুতের একাধিক গ্রাহকের অভিযোগ, মাঝে মধ্যেই এমন ভুতুড়ে বিলের কারণে তাদের বিপদে পরতে হয়। এসব বিষয় সমাধান করতে হলে অনেক দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। বিষয়গুলো অতি গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য আহ্বান জানান তারা।

এ বিষয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (কারিগরি) মোহাম্মাদ আবু নাসের বলেন, এটা বড় ধরনের একটি ভুল। বিলটি সংশোধন করে অতিসত্বর গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। যারা এমন ভুল কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।