অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে রক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে ৭ অক্টোবরে হামলার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যদের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২ জন।
ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদসহ কয়েকজন বিরোধী এমপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধস্তাধস্তির এই ভিডিও শেয়ার করেছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধাদের হামলায় যারা নিহত-আহত এবং অপহৃত হয়েছিলেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের এক ছাতার নিচে নিয়ে এসেছে অক্টোবর কাউন্সিল নামের একটি এনজিও। এই এনজিওতে নথিভুক্ত পরিবারের সংখ্যা ১ হাজার ৫০০টি।
সোমবার নেসেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। আগে সে সময় অধিবেশনে উপস্থিত থাকার অনুমতি চেয়ে স্পিকার আমির ওহানা বরাবর চিঠি দিয়েছিল অক্টোবর কাউন্সিল।
সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে অক্টোবর কাউন্সিলের বেশ কয়েকজন সদস্য নেসেট ভবনে হাজির হয়ে অধিবেশনে প্রবেশ করতে চান। এ সময় রক্ষীরা তাদের বাধা দিলে তাদের বাদানুবাদ শুরু হয় অক্টোবর কাউন্সিলের সদস্যদের। অল্প সময়ের ব্যবধানে সেই বাদানুবাদ পরিণত হয় ধস্তাধস্তিতে।
ধস্তাধস্তি এবং তার জেরে দু’জন আহত হওয়ার পর নেসেটের সিড়িতে অবস্থান নেন অক্টোবর কাউন্সিলের সদস্যরা। এ সময় তারা ক্যাডিশ (ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের সকাল বেলার প্রার্থনা) আবৃত্তি করতে থাকেন এবং নিহত ও জিম্মিদের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেন।
কিছু সময় এই পরিস্থিতি চলার পর নেসেট অধিবেশনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় অক্টোবর কাউন্সিলের সদস্যদের। অনুমতি পাওয়ার পর তারা প্রবেশ করেন এবং নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সময় তারা তারা নেতানিয়াহুকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে দাঁড়ান সেই সঙ্গে নিহত ও জিম্মিদের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও তুলে ধরেন তারা।
অধিবেশন শেষ হওয়ার পর বিদায় নেন অক্টোবর কাউন্সিলের সদস্যরা।
২০২৩ সালের অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় হামাসের যোদ্ধারা। ইসরায়েলের ইতিহাসে এর আগে এত বড় ও ভয়াবহ হামলা ঘটেনি।
হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাস ধরে চলা সেই নির্মম অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন ৪৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন লক্ষাধিক।
কিন্তু এমন অভিযান চালিয়েও এখন পর্যন্ত সব জিম্মিকে উদ্ধার করতে পারেনি নেতানিয়াহুর সরকার। সে কারণে ইসরায়েলে ব্যাপক সমালোচনাও অবশ্য হচ্ছে নেতানিয়াহুর। জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, নেতানিয়াহু জিম্মিদের উদ্ধারের পরিবর্তে সামরিক অভিযান চালিয়ে যেতে বেশি আগ্রহী।