ad1
ঢাকাশুক্রবার , ১৭ মে ২০২৪
  1. Uncategorized
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন আদালত
  5. আজকের পত্রিকা
  6. খুলনা
  7. খেলা
  8. চট্টগ্রাম
  9. চাঁপাই নবাবগঞ্জ
  10. জয়পুরহাট
  11. ঢাকা
  12. নওগাঁ
  13. নাটোর
  14. পাবনা
  15. প্রবাস

স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে ২১ বছরের তরুণের বাড়িতে ৪২ বছরের নারীর অনশন

kabir
মে ১৭, ২০২৪ ৪:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ছবি: অনশনরত নারী ও নাদিম সরদার

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রী স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে ২১ বছরের এক তরুণের বাড়িতে এসে অনশনে বসেছেন ৪২ বছরের এক নারী। ফেসবুকে পরিচয়ের পর ওই নারীকে বিয়েও করেছিল নাদিম। কিন্তু কিছুদিন পরেই বিয়ে করা স্ত্রীকে অস্বীকার করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় নাদিম। এরপর বাধ্য হয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে নাদিমের বাড়িতে এসে অনশনে বসেছেন ওই নারী।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) শরীয়তপুর সদর পৌরসভার হুগলি গ্রামের সরদার বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হুগলি গ্রামের বিল্লাল সরদারের ছেলে নাদিম সরদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কুড়িগ্রাম জেলার কবিরাজপাড়া গ্রামের ৪২ বছরের এক নারীর। দুই সন্তানের জননী ওই নারীকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ঢাকার আজিমপুর এলাকায় এক কাজীর মাধ্যমে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন নাদিম সরদার। বিয়ের পরে ঢাকার একটি আবাসিক হোটেলে একান্তে সময় কাটানোর পর ওই নারীকে কুড়িগ্রামে পাঠিয়ে দেয় নাদিম। এরপর নাদিম ধীরে ধীরে ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নাদিমের বাড়িতে এসে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে অনশন শুরু করেন ওই নারী।

জানতে চাইলে ওই নারী বলেন, বিয়ের আগে নাদিমের সঙ্গে আমার প্রেম ছিল। সবকিছু জেনে শুনে আমাকে বিয়ে করেছেন নাদিম। বিয়ের পর নাদিমের যখন যা কিছু দরকার পড়েছে আমি দিয়েছি। এমনকি আমার গহনা বিক্রি করেও টাকা দিয়েছি। এখন সে পারিবারিক চাপের কারণে আমাকে অস্বীকার করছে। আমি আমার অধিকার নিয়েই এ বাড়িতে এসেছি। আমি ওর সঙ্গে সংসার করতে চাই। আপনারা সকলে আমাকে সহযোগিতা করুন।

বিষয়টি নিয়ে নাদিম সরদারের মোবাইলে কথা হলে নাদিম বলেন, উনিই ফেসবুকে আগে আমাকে মেসেজ দিয়েছেন। আমি জানতাম না তার এতো বয়স। আমি তার সঙ্গে সংসার করিনি। আমি তাকে তালাক দিয়ে দিয়েছি।

নাদিম সরদারের মা বলেন, আমার বাড়িতে আসা ওই নারীর আগে একটি সংসার ছিল। ওই সংসারে আমার ছেলের চাইতে বয়সে বড় দুইটি সন্তান রয়েছে। এমন সম্পর্ক মেনে নেওয়ার মতো না। তাছাড়া ওদের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। এখন নতুন করে ওই মহিলা কেন আসছে বুঝতে পারছি না।

বিষয়টি নিয়ে পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক। তবে ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।