ইসরায়েলকে কড়া বার্তা দিলো সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত

অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হওয়ার পর অঞ্চলটি শাসনে তেল আবিব যে পরিকল্পনা দিয়েছে, তা তারা মেনে নেবে না বলে জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এদিকে সৌদি আরবও জানিয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।

আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেছেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া গাজা যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা সমর্থন করতে প্রস্তুত নয় সংযুক্ত আরব আমিরাত।’

আরও পড়ুনঃ   বাশারের উৎখাতে ব্যাপক খুশি, কৃতিত্ব দাবি নেতানিয়াহুর

এর আগে, গত মে মাসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার জন্য একটি যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা অনলাইনে প্রকাশ করেন। এতে তিনি দাবি করেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনিরা ‘অতুলনীয় সমৃদ্ধি উপভোগ করবে।’

এই পরিকল্পনায় গাজায় একটি বন্দর, সৌরশক্তি, বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন কারখানা এবং নতুন আবিষ্কৃত গাজা গ্যাসফিল্ডের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। যেদিন ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় জয়লাভ করবে, তার পরদিন থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত মোট তিনটি ধাপে এসব বিষয় বাস্তবায়ন করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয় সেই পরিকল্পনায়।

অন্যদিকে লন্ডনভিত্তিক থিংকট্যাংক চ্যাথাম হাউসের এক আলোচনা সভায় সৌদি আরবের গোয়েন্দাবাহিনীর সাবেক প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল বলেছেন, ‘একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা শুধু সৌদি আরবের সঙ্গেই নয়, বাকি মুসলিম বিশ্বের সঙ্গেও ইসরায়েলের সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

আরও পড়ুনঃ   ফের কিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান ট্রাম্প

সৌদি আরবের এই কূটনীতিক আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সৌদি আরবের কাছে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রাথমিক শর্ত, কিন্তু…ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দেশটির পুরো সরকার বলছে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বলতে কিছু নেই।’

এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, সৌদি আরব ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুসরণ করে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে থাকবে।-ইত্তেফাক ডিজিটাল ডেস্ক