জুলাই হত্যাকাণ্ড: বিএসএমএমইউয়ের চিকিৎসক–নার্সসহ ১৫ জন বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লক এলাকায় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কর্মরত চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ ১৫ কর্মকর্তা–কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার (৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা–কর্মচারীরা হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তোরাব আলী মিম, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ সিদ্দিকী প্রাণ, পরিচালক (হাসপাতাল) অফিসের পেইন্টার নিতীশ রায়, মো. সাইফুল ইসলাম, এমএলএসএস কাজী মেহেদী হাসান, সহকারী ড্রেসার শহিদুল ইসলাম (সাইদুল) ও সুইপার সন্দীপ।

আরও পড়ুনঃ   সালথায় নিজ দোকানে ঝুলছিল ব্যবসায়ীর মরদেহ

এ ছাড়া এ তালিকায় আছেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অফিস সহকারী উজ্জ্বল মোল্লা, পরিবহন শাখার ড্রাইভার সুজন বিশ্ব শর্মা, বহির্বিভাগে (ওপিডি-১) এমএলএসএস ফকরুল ইসলাম জনি, ল্যাবরেটরি সার্ভিস সেন্টারের কাস্টমার কেয়ার অ্যাটেনডেন্ট রুবেল রানা।

সাময়িক বরখাস্তের তালিকায় আরও রয়েছেন—সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শবনম নূরানী, ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস শাহাদাত, কার্ডিওলজি বিভাগের এমএলএসএস মুন্না আহমেদ এবং ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস আনোয়ার হোসেন।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৪ তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান চলাকালীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের সম্মুখে সংগঠিত হত্যার সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও কর্মচারীগণকে দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ধারা ২ এর (ছ), (জ), (ঝ) ও (ঢ) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হলো।

আরও পড়ুনঃ   এক মাসে তিনবার বাড়লো সোনার দাম

এতে আরও বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্তকালীন দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ১৪ ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে বেতন ও ভাতাদি পাবেন। তবে বিধি মোতাবেক তাঁদের চাকরি নিয়ন্ত্রিত হবে।

এ আদেশ ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলেও অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।