সকল বুদ্ধিজীবীর মূল লক্ষ্য ছিল শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা : বিভাগীয় কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেন, সকল বুদ্ধিজীবীর মূল লক্ষ্য ছিল শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যমুক্ত একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমরা সবাই সেই প্রত্যয়ে কাজ করে যাব আজকের দিনে আমাদের এ কামনা থাকবে।

আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৪’ পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ-চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে, বিশেষকরে ১৪ ডিসেম্বরে পরিকল্পিতভাবে হানাদার বাহিনী কর্তৃকরায়েরবাজার, মিরপুর, মোহাম্মদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জাতির যে সূর্য-সন্তানদেরনির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল তাঁদের স্মরণেই শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়।
শহিদ বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যা প্রসঙ্গেখোন্দকার আজিম আহমেদবলেন, শুধু রাজশাহীতেই ৬১জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়েছে এবং সারা বাংলাদেশে এ সংখ্যা ১ হাজার ১ শত ১১ জন। বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করাই ছিল এ নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য।

আরও পড়ুনঃ   রাজশাহীতে বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জুলাই বিপ্লব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নতুন একটি দেশ গড়তে শিক্ষাবিদ,চিকিৎসক, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষযেভাবেমুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল,জুলাই বিপ্লবে ছাত্ররাও সেভাবেই তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিল। এসময় নতুন বাংলাদেশ গঠনে শিল্পী-সাহিত্যিকদের অবদান হিসেবে ‘আওয়াজ উডা বাংলাদেশ’ ও ‘কথা ক’ শীর্ষক গানের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ   টেকসই উন্নয়নে সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদ করতে হবে : প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ

রাজশাহী জেলাপ্রশাসক আফিয়া আখতার এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আলমগীর রহমান, পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খোকা, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফ্রন্টলাইনার আব্দুর রহীম, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।