ধৈর্যের সঙ্গে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে : ডা. তাহের

অনলাইন ডেস্ক : জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, অসীম সাহসিকতা ও ধৈর্যের মাধ্যমে সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে; এটাই ছাত্রশিবিরের দায়িত্বশীলদের জন্য মূল পথনির্দেশ। নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝেও ইসলামী আদর্শে অবিচল থেকে, সাহস ও ধৈর্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে সমাজে সঠিক পরিবর্তন আনা যায়।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত ক্যাম্পাস প্রতিনিধি সমাবেশ ২০২৪-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

রাজধানীর আল-ফালাহ মিলনায়তনে সকাল ৮টায় শুরু হয়ে দিনব্যাপী সমাবেশ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, আমাদেরকে ধৈর্য, সাহসিকতা, নৈতিকতা ও চারিত্রিক উৎকর্ষতার মাধ্যমে এক মানবিক শিক্ষাঙ্গন ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ   এবার দেশের সব পলিটেকনিকে শাটডাউন ঘোষণা

তিনি বলেন, ছাত্রশিবিরের একজন দায়িত্বশীলকে প্রতিটি দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ হতে হবে। নৈতিকতা, জ্ঞান, শারীরিক শক্তি, সামাজিক দায়িত্বশীলতা ও সাহসিকতায় যেন সে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখে এবং এক আদর্শ দায়িত্বশীল হিসেবে গড়ে উঠে। এই গুণগুলো ছাত্রসমাজের কাছে তাকে গ্রহণযোগ্য করে তুলবে, ছাত্রশিবিরের প্রতি তাদের আকর্ষণ বাড়াবে এবং এর মাধ্যমে যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে সাহায্য করবে। ইসলামী আদর্শ ও নৈতিকতার ভিত্তিতে একটি সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ার লক্ষ্যে তার দায়িত্বশীলতায় ছাত্রশিবির আরও শক্তিশালী হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ছাত্রশিবিরের যে মহৎ গুণাবলী রয়েছে, সেগুলো সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। যুবসমাজকে আকৃষ্ট করতে হবে সৎগুণাবলী ও আদর্শের মাধ্যমে, পেশীশক্তি দিয়ে নয়। আমাদের মাঝে কোনো দুর্বলতা থাকলে, তা নিরলস প্রচেষ্টায় কাটিয়ে উঠতে হবে। আমাদের লক্ষ্য কুরআন-সুন্নাহর আলোকে একটি সুশৃঙ্খল ও নৈতিক সমাজ গড়ে তোলা।

আরও পড়ুনঃ   সরকারি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদে দ্রুত জনবল নিয়োগের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

সভাপতির বক্তব্যে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আগামী দিনে দেশের সমৃদ্ধি, ছাত্রসমাজের অধিকার, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্রশিবিরকে নেতৃত্বদানের ভূমিকা পালন করতে হবে। ছাত্রশিবিরের প্রতি সাধারণ মানুষের যে আশা ও প্রত্যাশা রয়েছে, তা পূরণে আমাদের সকলকে আরও নিবেদিতভাবে কাজ করতে হবে এবং ইসলামী মূল্যবোধ ও মানবিকতার ভিত্তিতে এক সুশৃঙ্খল সমাজ গড়ে তুলতে হবে।