সৌদির কাছে অস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক : সৌদি আরবের কাছে ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন।

বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন সৌদি আরব সফরের আগে চুক্তিতে অনুমোদন দেয়া হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের তথ্যানুযায়ী, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে মধ্যপাল্লার ১ হাজার ‘এআইএমু১২০’ ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশে থাকা লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার জন্য কোনো আকাশযান থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া যায়।

ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি এরইমধ্যে কংগ্রেসকে অবহিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১৩ থেকে ১৬ মে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন। ট্রাম্প প্রশাসন শুরু থেকেই সৌদির সঙ্গে বড় ধরনের বাণিজ্যিক চুক্তির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিল।

আরও পড়ুনঃ   আসাদকে উৎখাত করা বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

‘এসপিএ’ বলেছে, সৌদি আরব সফরে দেশটির নেতাদের কাছে ১শ’ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের বিভিন্ন অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশ্য তার আগেই ৩৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির খবরটি সামনে এল।

সৌদি আরবে দীর্ঘদিন ধরেই অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে সৌদি সফরকালে রিয়াদের কাছে ১১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দেন। তবে ২০১৮ সাল নাগাদ মাত্র সাড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়। ওই বছরের অক্টোবরে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে চুক্তিগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে মার্কিন কংগ্রেস।

আরও পড়ুনঃ   গাজায় ১৯৬ ত্রাণকর্মীকে হত্যা : নিরপেক্ষ তদন্ত চায় জাতিসংঘ

খাসোগি হত্যাকাণ্ডের জেরে ২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসনের আমলে মার্কিন কংগ্রেস সৌদি আরবের কাছে মারণাস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল সৌদি আরবকে ইয়েমেন যুদ্ধের তীব্রতা কমিয়ে আনতে বাধ্য করা। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া ওই যুদ্ধে অসংখ্য বেসামরিক মানুষ নিহত হয়।

মার্কিন আইন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অস্ত্র বিক্রির বড় চুক্তিগুলো কংগ্রেসের সদস্যদের যাচাই-বাছাই ছাড়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে পর বৈশ্বিক তেল সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। ফলে সৌদি আরবের প্রতি নমনীয় অবস্থানে যেতে বাধ্য হয় বাইডেন প্রশাসন।