জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ধারাবাহিক মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে আজ (২৬ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন। কমিশনের সদস্য এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান এর সঞ্চালনায় এ সভায় কমিশনের অপর দুই সদস্য ডা. সৈয়দা শাহীনা সোবহান এবং মেহেদী হাসান উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে আবদুল মুয়ীদ বলেন, আমরা এমন একটি প্রতিবেদন দিতে চাই যা বাস্তবতা বিবর্জিত নয়। জনগণ কী চাচ্ছে তা শোনার জন্য আমরা এসেছি। আমরা সরকারের কাছে একটি সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরতে চাই। এখন যে প্রশাসন আছে সেখান থেকে কীভাবে আরও ভালো সেবা দেওয়া যায় সেটিই আপনাদের কাছ থেকে শোনা আমাদের উদ্দেশ্য।

আরও পড়ুনঃ   নগরীতে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার ১২

তিনি বলেন, আগের রিজিমে পুলিশ ও এনএসআই দ্বারা ভেরিফিকেশনে চাকুরী প্রার্থীর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা যাচাইয়ের অর্থহীন প্রক্রিয়া চলছিল। এত ভেরিফিকেশনের দরকার নেই। ব্যক্তি হিসেবে চাকুরীপ্রার্থী কেমন সেটি বিবেচনাই মুখ্য বিষয়। সরকারি কর্মচারী ব্যক্তি হিসেবে তার কাজ ঠিকমত করছেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

তিনি নিজ নিজ জায়গা থেকে অর্পিত দায়িত্বটা আরও ভালোভাবে পালন করার এবং মানুষের কীসে ভালো হবে তা চিন্তা করার অনুরোধ জানান। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এক দুই বছরের মধ্যেই দেশের চেহারায় একটা পরিবর্তন আসবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কমিশনের সদস্য এবং ছাত্র সমন্বয়ক মেহেদী হাসান বলেন, সাম্য ইনসাফ ও মানবিকতা ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার। ছাত্র আন্দোলন হয়েছিল কারণ আগের সরকারের নিকট থেকে মানুষ এগুলো পায়নি। তিনি আগস্টের পরিবর্তনের দর্শন গ্রহণ এবং জনপ্রশাসনে নিযুক্ত কর্মচারীদের মানসিকতা পরিবর্তনের আহ্বান জানান।

আরও পড়ুনঃ   বাঘায় নিরীহ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

মতবিনিময় সভায় জনপ্রশাসনে নিযুক্ত কর্মচারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করা, আবেদন বা চিঠিপত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে মীমাংসা হওয়া, পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, ডেপুটেশন বন্ধ করা, পাবলিক সার্ভিস কমিশন এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সকল ক্যাডারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, দক্ষতা ও সততার ভিত্তিতে পদোন্নতি, সেবাগ্রহীতার রেটিং প্রদান, শিশুদের জন্য মাঠ উন্মুক্ত করা, কোচিং ও প্রাইভেট বন্ধ করা, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মত নানা সুপারিশ উঠে আসে অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে।
সভায় রাজশাহী বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।