যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন : মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-‘বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

‘জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা। কারণ, আমরা সবাই রাজনৈতিক কর্মী। আমরা রাজনীতি করি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। তাই, অল্প সময়ের মধ্যে আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন-এটা আমাদের প্রত্যাশা।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এনপিপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুনঃ   দুদকের জালে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালসহ চার সাবেক এমপি

এনপিপি’র চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি- ‘জাগপা’র চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
রাষ্ট্র মেরামত কিংবা পরিবর্তন অথবা সংস্কার – যেটাই বলা হোক না কেন তা অবশ্যই করতে হবে যুগোপযোগী- এ কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কঠিন এক সময় পার করছি। এই সময়ে আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করলে রাষ্ট্র বিপদে পড়ে যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারে পলিটিক্যাল কোনো লোক নেই। আর রাজনীতিবিদ ছাড়া কোনো সংস্কারই সফল হতে পারে না। তাছাড়া, বাংলাদেশের রাজনীতিও সহজ নয়। তবে, আমরা ধৈর্য্যের সঙ্গে কাজ করছি।

এ সময় মির্জা ফখরুল জানান, সংস্কারের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। এই সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ কিছুই করেননি, এটা বলা ঠিক হবে না। ইতোমধ্যে তারা নির্বচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি ঘোষণা করেছে।

আরও পড়ুনঃ   জাবির নতুন ভিসি অধ্যাপক কামরুল

তিনি বলেন,‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল সার্চ কমিটি ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ব্যবস্থা করে দলগুলোর পরামর্শ নেওয়া হবে। কিন্তু তা করা হয়নি।’
এই অনুষ্ঠানে বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকারের ভিন্ন কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে দেশের মানুষ ভালবাসে। এজন্য তাঁর অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত, যাতে মানুষের কাছে তাঁর এ অবস্থান নষ্ট না হয়। আমরা প্রত্যাশা করবো, সংস্কার কমিটির সদস্যরা দ্রুতই সকল রিপোর্ট জনগণের সামনে উন্মুক্ত করবেন। তবে, এমন কিছু করা যাবে না, যা দেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়।’-বাসস