সিনওয়ারের ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসকের চমকপ্রদ তথ্য

অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মরদেহের ময়নাতদন্ত করেছেন চেন কুগেল নামের এক চিকিৎসক। সিনওয়ারের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে এবং তার দেহে কী কী ক্ষত ছিল সে ব্যাপারে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।

এই চিকিৎসকের দাবি, সিনওয়ারের মৃত্যু হয়েছে গুলির আঘাতে। যেটি তার মাথায় করা হয়েছিল। যা নতুন ও চমকপ্রদ তথ্য। এরআগে দখলদার ইসরায়েল জানিয়েছিল, সিনওয়ারের মৃত্যু হয়েছে ট্যাংকের গোলার আঘাতে। অবশ্য সিনওয়ারের দেহে ট্যাংকের গোলার আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে।

তিনি বলেছেন, “তার মৃত্যুর কারণ হলো মাথায় করা গুলি। তার মাথায় একটি গুলি পাওয়া গেছে। এছাড়া তার মস্তিস্কে আঘাতজনিত ক্ষত ছিল।”

আরও পড়ুনঃ   ২০০ ব্যাগ, ৭০টি ঘড়ি ছাড়া আরও যা আছে থাই প্রধানমন্ত্রীর

সিনওয়ারের মরদেহে অন্যান্য আঘাতও ছিল বিষয়টি উল্লেখ করে ডাক্তার চেন কুগেল বলেছেন, “তার দেহে অন্যান্য আঘাত ছিল, যেমন ডান বাহুতে মিসাইলের আঘাত, বাম পা বা উরুতে ভবন ধসে পড়ার আঘাত, এবং তার দেহে প্রবেশ করা অসংখ্য শার্পনেল। যদিও সবগুলো শার্পনেল তার বুকে ছিল। এসব শার্পনেল তার দেহে ব্যাপক ক্ষতি করে। কিন্তু তার মৃত্যুর কারণ হলো মাথার গুলির আঘাত।”

আরও পড়ুনঃ   ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় বাইডেনের ‘না’

সিএনএন এই চিকিৎসককে প্রশ্ন করেছিল কোন সময় সিনওয়ারের মৃত্যু হয়েছিল বলে ধারণা করছেন। জবাবে তিনি বলেছেন, বুধবার বিকেলে হয়ত তিনি নিহত হয়ে থাকতে পারেন। এর ২৪ ঘণ্টা পর তার মরদেহ ইসরায়েলের তেলআবিবে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নিশ্চিত হওয়া যায় মরদেহটি ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছিল।

এদিকে সিনওয়ারের মাথায় গুলির আঘাত থাকার ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সিএনএন। জবাবে তারা বলেছে, সিনওয়ার যে বাড়িতে ছিলেন সেটিতে ট্যাংক থেকে গোলা ছোড়ার আগে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছিল।