জেনারেশন ‘জি’ চাইলে রাজশাহী মহানগরীকে অবশ্যই সুন্দর করা সম্ভব-বিভাগীয় কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, জেনারেশন ‘জি’ চাইলে রাজশাহী মহানগরীকে অবশ্যই সুন্দর করা সম্ভব। শুধু রাজশাহী নয় সমগ্র বাংলাদেশকে সুন্দর করা যায়। এ দায়িত্ব তরুণদের নিতে হবে।

আজ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৪ এর আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসন ও আরডিএ বিশ^ বসতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

তরুণদের উদ্দেশে হুমায়ূন কবীর বলেন, তোমাদের কাঁধে দায়িত্ব পড়েছে দেশ পুনর্গঠনের, বৈষম্যহীন একটা জাতি গঠন করার। তোমরা চাইলে জগৎটা পাল্টে দিতে পারো, এটা বোঝার সামর্থ্য আমাদের আছে, হয়তো অনেকের নাই। সরকারি চাকুরীতে তোমরা কোটা সংস্কার করতে চেয়েছিলে, বল প্রয়োগ করে সেটাকে বন্ধ করতে চেয়েছিল, তারা পারেনি। তোমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

শহরে বসবাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, খরা প্রবণ এই অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াগুলোকে বিবেচনা করতে হবে। আমরা রাজশাহী শহরে এমন কোনো স্থাপনা, শিল্প-কারখানা, ইউটিলিটি করব না যা কার্বন নিঃসরণ করবে।

আরও পড়ুনঃ   নগরীতে পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৮, মাদকদ্রব্য উদ্ধার

শহরে জলাশয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে অবৈধভাবে অনেক পুকুর ভরাট করা হয়েছে। এসবের সাথে জড়িত সকলকেই এর দায়ভার নিতে হবে। শহর পুনর্গঠনে এগুলো দখলমুক্ত করতে হবে।

এসডিজির ১১ নং লক্ষ্যে টেকসই নগর তৈরির কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান বক্তা বলেন, আমরা কিন্তু এখন গ্লোবাল সিটিজেন। সুতরাং বৈশি^ক মানদণ্ড অনুযায়ী নিজেদেরকে যাচাই করতে হবে। আগামী ২০৫০ সালে জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হবে। এই বিশাল জনসংখ্যাকে বিবেচনায় নিয়ে এই শহরকে গড়ে তুলতে হবে।

আলোচনার প্রথম পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বসতি দিবসে তাদের ভাবনা ও প্রত্যাশাগুলো তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীরা রাজশাহী নগরীতে বিনোদন পার্কগুলোতে স্বচ্ছ দেয়াল, পর্যাপ্ত খেলার মাঠ, পুকুর ও জলাশয় রক্ষা, গাছ লাগানো, মার্কেট বা বাজারে পর্যাপ্ত পার্কিং স্থান, চিকিৎসা ফ্লোটিং আবাসের মতো বিভিন্ন নাগরিক সুবিধার দাবী করেন। বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আগামী ২০ বছরের মাস্টারপ্ল্যানে এসব দাবীর প্রতিফলনের প্রতিশ্রুতি দেন ।

আরও পড়ুনঃ   নগরীতে সাঁতার শিখতে গিয়ে নদীতে ডুবে ২ জনের মৃত্যু

আলোচনা সভায় বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন, রাজশাহী ডিআইজি রেঞ্জ মোঃ আলমগীর রহমান, আরএমপি পুলিশ কমিশনার মোঃ আবু সুফিয়ান, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সরকার অসীম কুমার, গণপূর্ত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল গোফফার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এস.এম. তুহিনুর আলম।

এ দিন সকাল নয়টায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় হতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে শিল্পকলা একাডেমীতে গিয়ে শেষ হয়। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘ÔEngaging youth to create a better urban futureÕ ’ অর্থাৎ ‘তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি।’