পাবনায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আ.লীগ কর্মীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার  : পাবনার সুজানগর উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোজাহার বিশ্বাস (৫৪) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

নিহত মোজাহার বিশ্বাস সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার রানীনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাণীনগর এলাকার মৃত আছির উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। তিনি সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের গ্রুপের কর্মী।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জুন রানীনগর এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আলামিন মিয়া (৩৫) নামে শাহীন গ্রুপের একজন নিহত হন। এ ঘটনার জেরে ওই এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়। হামলায় মোজাহার বিশ্বাসসহ ওহাব গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হন। মোজাহার বিশ্বাসের‌ অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার ৬ দিন পর আজ তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুনঃ   ডিম বিক্রেতা চবি শিক্ষার্থী টুম্পার পাশে ডিসি, বাবাকে দেওয়া হলো অটোভ্যান

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনার সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বলেন, মোজাহার বিশ্বাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা গেছেন। ঢাকাতেই ময়নাতদন্ত হবে। মরদেহ আসার পর এবং থানায় লিখিত অভিযোগের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনার পরপরই এলাকার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলেন, আগে যে মারা গেছে সেও আমার কর্মী, এখন যে মারা গেছেন সেও আমার কর্মী। তারা আওয়ামী লীগের কর্মী। আমি উভয় হত্যার বিচার চাই। পাশাপাশি যারা বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই, যেন এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

আরও পড়ুনঃ   চতুর্মুখী আন্দোলনে অচল রাবি

এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, যেদিন যুবলীগ নেতা আল আমিন হত্যাকাণ্ড হয়, ঘটনার পরপরই সেদিন নিহতদের লোকজন সেই মোজাহার বিশ্বাসের অবস্থান জানতে পেরে তাকে মারধর করে। সেই মারামারিতে মোজাহার বিশ্বাস আহত হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডে যেই জড়িত থাক তার বিচার হওয়া উচিত। এখানে আমার লোক, অমুকের লোক বলে কোনো কথা নেই।