রাবিতে ইউনিস্যাবের নতুন পোশাক পেল দেড় শতাধিক পথশিশু

রাবি প্রতিনিধি : সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে প্রায় দেড় শতাধিক পথশিশুর মাঝে নতুন পোশাক ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করলো ইউনাইটেড ন্যাশনস ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউনিস্যাব) রাজশাহী বিভাগ।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) পথশিশুদের মাঝে এ নতুন পোশাক তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাঈন উদ্দিন ও অধ্যাপক ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদ আনন্দ সবার মাঝে ভাগাভাগি করতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন ইউনিস্যাবের সদস্যরা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে রাজশাহী শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পথশিশুদের একত্রিত করে এসব পোশাক ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন তারা। এ সময় পথশিশুদের সাথে তাদের অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন।

নতুন পোশাক পেয়ে এক ছোট শিশু বলে, নতুন জামা পেয়ে খুবই ভালো লাগছে আমার। জামাটাও অনেক সুন্দর। নতুন জামা দিয়ে এবার ঈদ করতে পারব বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শিশুটি।

আরও পড়ুনঃ   র‌্যাব বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি: নূর খান লিটন

দুই বছরের বাচ্চার পোশাক নিতে ভদ্রা এলাকা থেকে এসেছেন এক অভিভাবক। তিনি বলেন, আমরা অনেক মা-বাবা আছি যারা ঈদ উপলক্ষ্যে আমাদের সন্তানদেরকে জামা-কাপড় কিনে দিতে পারি না। আমার চারটা বাচ্চা থাকায় দুজনকে দিতে পারলেও আর দুজনকে দেওয়া সম্ভব না। আমরা এ সংগঠনকে ধন্যবাদ জানাই এমন সুন্দর আয়োজন করার জন্য। তাদের দেওয়া নতুন পোশাকেই আমার বাচ্চা ঈদ পালন করবে।

সুমন ও মেঘার সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ইউনিস্যাবের নতুন পোশাক বিতরণ আসলেই প্রশংসার দাবিদার। এমন আয়োজন সকল ছাত্র সংগঠনের করা উচিত। এমন আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময় তাদের পাশে থাকবে।

ইউনিস্যাবের আঞ্চলিক সম্পাদক মো. শিহাব মিয়া বলেন, ইউনিস্যাব প্রতি বছরই এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে সমাজের কিছু সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করে। এই বছরও আমরা চেষ্টা করেছি রাজশাহী অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে নতুন জামা এবং খাদ্য বিতরণ করার। এই প্রোগ্রামকে সফল করার জন্য যারা বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ   বড়াইগ্রামে প্রধান শিক্ষক পিঞ্জুর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিস্যাবের উপদেষ্টা ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক জহুরুল হক আনিস, রাবির অফিস অব দ্যা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স’র পরিচালক ড. সাজ্জাদুর রহিম, সংগঠনটির আজীবন সদস্য রাশেদুল ইসলাম সজীব, সংগঠনটির অ্যালামনাসবৃন্দ, বর্তমান কমিটির সদস্যবৃন্দ ও দেড় শতাধিক পথশিশু এবং তাদের অভিভাবকরা।

উল্লেখ্য, ইউনিস্যাব বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যা সক্রিয়ভাবে তরুণদের দক্ষতা বিকাশের জন্য কাজ করে। সংগঠনটি ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। এখন পর্যন্ত সংগঠনটি সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। ইউনিস্যাব বাংলাদেশের ভবিষ্যত নেতৃত্ব তৈরির জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে কাজ করে।