রাজশাহীতে হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যকে হত্যার দায়ে নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পৌরসভার দুর্গাপুর মহল্লার ইসাহাক আলী (৬৫), মো. হাসান (৫২), মনি খাতুন (২৬), মুক্তা খাতুন (৩২), জাহিদ হাসান (২২), নাহিদ হাসান (২৫), দামকুড়া গ্রামের আবুল হাসনাত (৪০), আবদুল হালিম (২৮) ও সেরাজুল ইসলাম মিয়া (৩০)।

এদের মধ্যে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওযা হয়েছে। অপর একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি অন্য একটি ধারায় আরও তিন বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুনঃ   পবা থানা পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আলতাফ হোসেন (৫৮) কাঁকনহাট পৌরসভার দুর্গাপুর মহল্লার বাসিন্দা ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তার ভাই ইসহাক আলীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। বিষয়টি নিয়ে গত বছরের ৩ মে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেছিলেন কাঁকনহাট পৌরসভার তৎকালীন মেয়র।

কিন্তু তিনি মীমাংসা করতে ব্যর্থ হন। সেদিন পৌরসভা কার্যালয় থেকে সবাই চলে আসার পর ইসহাক আলী তার ছেলে, মেয়ে ও ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আলতাফ হোসেনের বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় আলতাফ হোসেনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়।

আরও পড়ুনঃ   নগরীতে ভূমিদস্যুদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ মে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়। পরে পুলিশ দশজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

তিনি আরও জানান, মামলার দশ আসামির মধ্যে একজন আগেই মারা গেছেন। অন্য নয়জনকে সাজা দিলেন আদালত। এ মামলায় আদালতে তার সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। তারা দুজনেই মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।