রেললাইনে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ, ট্রেন বন্ধ

14

স্টাফ রিপোর্টার: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে আন্দোলনরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা এবার রেললাইনে আগুন দিয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের পেছনে রেললাইনের দুটি স্থানে কাঠের গুঁড়ি ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম জানান, সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে খবর পান যে রেললাইনের দুটি জায়গায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে আগুন জ্বালানো হয়েছে। এরপর রাত ৮টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন। শিক্ষার্থীরা সেখানে বিক্ষোভ করছেন।

ব্যবস্থাপক জানান, আগুনের কারণে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী ঢুকতে পারেনি। রাজশাহীর হরিয়ান স্টেশনে ট্রেনটি আটকে আছে। মধুমতির পর তিতুমীর এক্সপ্রেস, সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেসহ কয়েকটি ট্রেন রাজশাহী ঢোকার কথা। এছাড়া রাত সোয়া ৯টায় রাজশাহী থেকে বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস এবং রাত ১১টা ২০ মিনিটে ধূমকেতু এক্সপ্রেস রাজশাহী থেকে বের হওয়ার সময়সূচি আছে। রেললাইন অবরোধ থাকলে কোন ট্রেনই রাজশাহী ঢুকবে না কিংবা রাজশাহী থেকে বের হতে পারবে না।

এর আগে শনিবার রাতে সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ রেললাইনের ওপর অবস্থান নিয়েছিলেন। ফলে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের সাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়া অন্য সব জেলার ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। রাতে রাজশাহী থেকে ঢাকামুখী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারেনি সময়মতো। রাত ১১টা ২০ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্য রাজশাহী ছেড়ে যাবার কথা ছিল।

রেললাইন অবরোধ থাকায় ঢাকা থেকে রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী একটি মেইল ট্রেন নাটোরের আবদুলপুর জংশনে আটকে থাকে। অবরোধ তুলে নিলে রাত ৩টার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। রোববার সকাল থেকে সব গন্তব্যের ট্রেন সময়মত ছেড়ে যায়। তবে সন্ধ্যায় আবার রেললাইন অবরোধ করায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হলো। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই মহাসড়ক দিয়ে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।

SHARE