স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, ‘ড. জোহা দিবসকে শুধু রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের এই আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে না রেখে উত্তরাঞ্চলের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে সোচ্চার হওয়া দরকার। যাতে আজকের এই দিনটিকে দেশব্যাপী জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আমার যদি ক্ষমতা থাকতো তাহলে আজকেই ড. শামসুজ্জোহার এই দিনটিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করতাম।’
শনিবার সকাল ১০টায় ড. জোহা দিবস উপলক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ জোহার সামাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ডেপুটি স্পিকার আরও বলেন, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক ছাত্র ও ছাত্র নেতা হিসেবে ক্ষুব্ধ। কেননা ড. জোহা স্যারের মৃত্যুর এতো বছর হয়ে গেলেও দিনটি কেবল এই ক্যাম্পাসেই পালিত হয়! জাতীয়ভাবে দিনটি এখন স্বীকৃতি পায়নি। অথচ তাঁর এই আত্মাহুতি বাঙালি জাতীয় সংগ্রামে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছিল। এই ঘটনার পর গণঅভ্যুত্থান দুর্বার রূপ ধারণ করেছিল। অথচ এই জোহা দিবস এখনো জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘ড. শামসুজ্জোহা শুধু রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের জোহা ছিলেন না, তিনি সারা বাংলাদেশের শিক্ষককূলের ঐতিহ্য। তিনি রক্ত দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন এ দেশের শিক্ষককূল কাপুরুষ নয়। তারা মহাসংকটে মাথা উচু করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।’
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, রবীন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শাহ্ আজম, রাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবাইদুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক এম তারেক নুর, রাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে ড. শামসুজ্জোহার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে রাবি শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন হল ও বিভাগ, রাবি সাংবাদিক সমিতি (রাবিসাস), রিপোর্টার্স ইউনিটি, প্রেসক্লাব, ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটসহ অন্যান্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এসময় সংগঠনের নেতৃবৃন্দও দিবসটিকে অবিলম্বে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবি জানান।