ড. জোহার রক্তের সিঁড়ি দিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলন ত্বরান্বিত হয়েছিল : রাবিতে ডেপুটি স্পিকার

32

রাবি প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেছেন, ‘ড. জোহার রক্তের সিঁড়ি দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোল ত্বরান্বিত হয়েছিল। জোহার রক্ত গণঅভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদী করেছে। পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম আরো বেগবান করেছে। তবে এটা আমাদের ব্যর্থতা যে সেই ড. জোহাকে দেশব্যাপী জাতীয়ভাবে স্মরণে শিক্ষক দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি।’

শনিবার সকাল ১০টায় ড. জোহা দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ‘জোহা স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষা’ শীর্ষক বক্তৃতা দেন রাবির রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম লুৎফর রহমান। বিশ^বিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এর আগে শহীদ শামসুজ্জোহার সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘ড. জোহা দিবসকে শুধু রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের এই আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে না রেখে উত্তরাঞ্চলের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে সোচ্চার হওয়া দরকার। যাতে আজকের এই দিনটিকে দেশব্যাপী জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আমার যদি ক্ষমতা থাকতো তাহলে আজকেই এই দিনটিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করতাম।’

বক্তৃতা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘ড. জোহা কেবল শিক্ষকই ছিলেন না, ছিলেন প্রেরণা। যাঁর আত্মহুতির মাধ্যমে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন তরান্বিত হয়েছিল, পাক হানাদারের বিরুদ্ধে বাঙালি গড়ে তুলেছিল দুর্বার আন্দোলন। ছাত্রদের জন্য জীবন দেওয়া এই শহীদ বুদ্ধিজীবী বাঙালির জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় নাম হয়ে আছে।’ তিনি দিবসটিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে স্বীকৃতির জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু। রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসান আহমদ এতে সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বিশ^বিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক এম তারেক নুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন ছাড়াও ড. শামসুজ্জোহার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে রাবি শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন হল ও বিভাগ, রাবি সাংবাদিক সমিতি (রাবিসাস), রিপোর্টার্স ইউনিটি, প্রেসক্লাব, ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটসহ অন্যান্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

SHARE