শহরেও বিধবা ভাতা চান লিটন

25

স্টাফ রিপোর্টার: স্বামী মারা গেলে গ্রামের নারীরা বিধবা ভাতা পান। কিন্তু সিটি করপোরেশন এলাকার নারীরা পান না। গ্রামের মতো শহরেও এই ভাতা চালু করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবেন বলে জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল হওয়ায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের সিডিসি টাউন ফেডারেশন, সিএইচডিএফ, ক্লাস্টার ও সিডিসির নারীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন ভাতা চালু রেখেছে। সারাদেশে সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে বিধবাভাতাও প্রচলন আছে। সিটি এলাকায় এ ভাতাটি যেন চালু হয় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানাবো।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পটি বিগত সময়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে প্রকল্পের কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন নারীবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তিনি নারীদের জন্য, দেশবাসীর জন্য যা করে দেখালেন, তা তুলনাহীন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ সব জায়গায় এখন সন্তানের পিতার নামের পাশাপাশি মায়ের নাম লেখা হয়। নারীদের এই সম্মান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রোববার সকালে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেণী। তিনি বলেন, ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর জনসভা মাঠ সকাল সকাল সিডিসির মেয়েদের অংশগ্রহণে মাঠ ভরে যায়। স্বতঃর্ফূত অংশগ্রহণের জন্য সবার প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি।

সিডিসি টাউন ফেডারেশনের সভাপতি আয়েশা ইসলাম মুন্নির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সংগঠনের উপদেষ্টা আরিফুল হক কুমার, প্রকল্পের সদস্য সচিব ও সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর ইসলাম তুষার, চিফ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার আজিজুর রহমান, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর তানবিরুল আলম প্রমুখ।

SHARE