স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির কারণে আওয়ামী লীগের কম্পন শুরু হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের মাথায় পচন ধরে গেছে। আমাদের মিছিল-মিটিং দেখে জনসমাবেশ দেখে, নেতাকর্মীদের শ্লোগানে-পদযাত্রায় আওয়ামী লীগের কম্পন শুরু হয়ে গেছে। ওরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।’
শনিবার বিকালে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আব্বাস বলেন, ‘আমরা টোকা দিয়ে কিংবা ধাক্কা দিয়ে সরকারকে ফেলে দিতে চাই না। আমরা চাই, নিরপেক্ষা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। আমরা সিইসি-টিইসি ইলেকশন কমিশন-টমিশন কিচ্ছু আমরা বুঝতে চাই না। আমরা বুঝতে চাই, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে আমরা যাব, সারা বাংলাদেশে বিপুল ভোটে আমরা জয়লাভ করব। এর মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটবে।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে জনগণ ভোট দেয়নি। তাদের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই। ১৫ বছর আগে যে নতুন ভোটার হয়েছে তার এখনও ভোট দেওয়ার সুযোগ হয়নি। আমিও ভোট দেওয়া ভুলে গেছি। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলে আওয়ামী লীগ বলে, এটা কোর্ট বাতিল করে দিয়েছে। কোর্টের রায়ে রাজনীতি নির্ধারণ হয় না।’
বিএনপির আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে আজ ডলার সংকট। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। দেশে এই অবস্থা চলতে পারে না। বিএনপি আন্দোলন করছে মানুষের ভোটের অধিকার ফেরানোর জন্য। নিশিরাতের সরকারকে দূর করে গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য। আর আওয়ামী লীগ আমাদের পদযাত্রাকে বলেছে মরণযাত্রা। আমরা বলতে চাই, এই পদযাত্রা আওয়ামী লীগের অগ্রিম শবযাত্রা।’
বিএনপির ১০ দফা দাবি আদায়ে সব বিভাগীয় শহরে একযোগে সমাবেশের অংশ হিসেবে নগরীর সোনাদীঘি মোড়ে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশ থেকে কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আব্বাস আগামী কর্মসূচি হিসেবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিভাগের সব ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা করার ঘোষণা দেন। সমাবেশে বিভাগের আট জেলা থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা। জেলার সদস্য সচিব বিশ^নাথ সরকার ও মহানগরের সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা আবদুল লতিফ খান, হাবিবুর রহমান হাবিব, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলার আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রমুখ।