স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বেলার অন্যান্য কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ ও তাদের বহনকারী গাড়ি আটকে রাখার ঘটনায় রাজশাহীর নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ এবং তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ জানানো হয়।
উদ্বেগ জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয়ের (রাবি) সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহান, আইন অনুষদের সাবেক ডীন প্রফেসর ড. আ. ন. ম ওয়াহিদ, সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি প্রফেসর ড. সিদ্ধার্থ শঙ্কর তালুকদার, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. দীপকেন্দ্র নাথ দাস, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. তুহিন ওয়াদুদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. রেদওয়ানুর রহমান, দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক অসিত সাহা, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) জেলা সভাপতি মো. জামাত খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
এছাড়াও বিবৃতি দিয়েছেন রাবির ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান সৈয়ক মিশফাক আলী, এসিডির নির্বাহী পরিচালক সালীমা সারোয়ার, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পরিচালক (আইন) দিল সেতারা বেগম চুনি, ‘রুলফাও’ এর পরিচালক আফজাল হোসেন, ‘পরিবর্তন’ এর পরিচালক রাশেদ রিপন, ব্লাস্ট রাজশাহী ইউনিটের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট সামিনা বেগম, সাংবাদিক মামুন-অর-রশিদ, শহীদ এজাজ ইউসুফ আদনান, বেলার রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার সান্যাল।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ এলাকায় বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। এবং এ সময় তার সফরসঙ্গী বেলা’র কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়। আকবরশাহ থানাধীন লেকসিটি আবাসিক এলাকায় পাহাড় কেটে ভরাট করা ছড়া পরিদর্শনের সময় এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের নেতৃত্বে তাঁর অনুসারী দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিবেশ, মানবাধিকার ও অধিকারভিত্তিক সংগঠনগুলো প্রায়শই এ ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করে প্রকৃত ঘটনা সংবাদ মাধ্যম এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট তুলে ধরে তাদের নাগরিক দায়িত্ব পালন করে আসছে। তাই অধিকারভিত্তিক সংগঠনের ওপর এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা উদ্বেগজনক। এবং আমরা এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। একই সাথে আকবরশাহ পাহাড় ও কালীরছড়া খাল অবিলম্বে দখলমুক্ত করে সংরক্ষণের দাবি জানানো হয়েছে নাগরিক সমাজের বিবৃতিতে।