স্টাফ রিপোর্টার: দুই মাস আগে যশোরে জনসভা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এতে অংশ নিয়েছিলেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলন হয়েছে। সম্মেলনের পর এই প্রথম আগামী রোববার রাজশাহীতে দলের এক জনসভায় অংশ নেবেন শেখ হাসিনা, যখন আগামী নির্বাচনের বাকি আর এক বছর।
রাজশাহীর এই জনসভা নির্বাচনি জনসভা কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগের বছর তো নির্বাচনি বছর হিসেবেই ধরা হয়। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন যে, “আমি নির্বাচনি প্রচারণায় নেমে গেলাম।” নির্বাচন এলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনগণের মধ্যে যেন উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা দেখা দেয়। এর আগেই প্রধানমন্ত্রী জনসভা থেকে জনগণকে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।’
রোববার রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দানে প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার বিকালে এই মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা শোনার জন্য মানুষের ঢল নামবে। মাঠে তো বটেই, বাইরেই অনেক মানুষ থাকবে।
লিটন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবার যে পরিকল্পনা সেটি মানুষ শুনতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে চেয়েছিলেন, তা হয়ে গেছে। আমরা সুফল পাচ্ছি। এখন তিনি তরুণদের নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চান। সেটাও হবে। মাঠ শুধু নয়, মাঠের বাইরেও প্রচুর মানুষ থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা শুনতেই মানুষের ঢল নামবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই জনসভায় রাজশাহী জেলা ও মহানগর, নাটোর, নওগাঁ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজশাহী বিভাগের অন্য জেলাগুলো থেকেও যদি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আসতে চান, আসবেন। আমরা কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষের সমাগম আশা করছি।’
এর আগে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে নিয়ে মাঠ পরিদর্শন করেন লিটন। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।