বিএনপির দাবিকে দেশের মানুষ পাত্তা দিচ্ছে না: আবদুর রহমান

34

স্টাফ রিপোর্টার : নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিএনপি যে ১০ দফা দাবি দিয়েছে তা দেশের মানুষ পাত্তা দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনকেই ভণ্ডুল করার জন্য অসাংবিধানিক-অগণতান্ত্রিক দাবি সামনে নিয়ে আসে। এই দাবিকে এই দেশের মানুষ পাত্তা দিচ্ছে না, আমলে নিচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন হবে।

আগামী রোববার রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে ঐতিহাসিক মাদ্র্রাসা মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আবদুর রহমান বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির কথা বিএনপি বহু আগে থেকেই বলছে, এটা নতুন কথা না। বিএনপি একটা দেউলিয়া রাজনৈতিক দল, নেতৃত্বহীন দল। বেগম খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া দুজনেই কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদের দলে একটা সংকট আছে, সেই সংকটে তারা ভুগছেও। সুতরাং, বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে-মধ্যে একটু উৎসাহ-উদ্দীপনা দেওয়ার জন্যই তারা এসব কথা বলে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল ১০ তারিখের পরে বেগম খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। কিন্তু এখনও শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশ চলে। সুতরাং, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির পেছনের প্রেক্ষাপটটা হলো একটা অসাংবিধানিক এবং অপরাজনৈতিক শক্তিকে ক্ষমতায়ন করা এবং এই ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারার একটা প্রশ্ন আছে। এটা দেশের মানুষ মানে না।’

বিএনপি কখনও নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্র্রীয় নেতা বলেন, ‘১৯৯১ সালে স্থুল কারচুপির মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় এসেছিল। ২০০১ সালেও কিন্তু এই বাংলাদেশের মানুষের যে গ্যাস, সেই গ্যাসের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিল। সেই গ্যাসও তারা দিতে পারেনি। ২০০১ এর পরে সুন্দরভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরও তারা করতে পারেনি। কোন সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচনে বিএনপি মানুষের ভোটে নির্বাচিত হবে না।’

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

SHARE