স্টাফ রিপোর্টার: দেশকে ধ্বংস করতেই বিএনপি আবারও ক্ষমতায় আসতে ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বিএনপির দেশ পরিচালনার কোনো যোগ্যতা নেই। এই যোগ্যতা প্রমাণ করতে হলে দুর্নীতি, নৈরাজ্য, মানুষ হত্যা থেকে বিরত থাকতে হবে। কিন্তু তারা পারবে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার যোগ্যতা একমাত্র শেখ হাসিনার আছে।
আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে গতকাল শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় যুবলীগের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ক্ষমতায় বিদেশি প্রভূদের কাছে গিয়ে লাভ হবে না। ক্ষমতায় আসতে হলে আগে নাকে ক্ষত দিয়ে জনগণের কাছে মাফ চাইতে হবে।
তিনি বলেন, আপনারা এক সময় ৬৩ জেলায় প্রেস ক্লাবে ও বিচাবালয়ে বোমা মেরেছিলেন। সাংবাদিক ও বিচারালয়কে ভয় পান বলে বোমা মেরে ছিলেন। অথচ এই দুইটা জিনিস রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ। এছাড়া জনগণকে ভয় পান বলে বাংলা ভাই তৈরি করে দেশে অরাজকতা করেছিলেন।
আগামীদিনে যুবলীগের নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, রাজপথই যুবলীগের ঠিকানা। রাজপথে থেকে সকল নৈরাজ্য ঠেকিয়ে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আমাদের প্রাণ শেখ হাসিনা। তিনি থাকলে জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। কেননা, বাংলাদেশের সকল অর্জন শেখ হাসিনার হাতে হয়েছে।
সবাইকে জনসভায় অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান পরশ বলেন, এই জনসভাকে ঐতিহাসিক জনসভায় পরিণত করতে হবে। সেই জনসভা থেকে জানান দিতে চাই বিএনপি-জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্র গুড়িয়ে দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, যারা নতুন করে হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন তৈরি করতে চায় তাদেরকে এই যুবলীগ প্রতিহত করবে। বিএনপি-জামায়াতের স্বপ্ন পূরণ হতে দিবে না। সেই বার্তা নিয়ে শেখ হাসিনা আসবেন। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর আগমনে রাজশাহীর সকল জায়গা জনসমুদ্রে হবে তা আর নতুন করে বলতে হবে না।
তিনি আরও বলেন, শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগকে শক্তিশালী করেছিল। মনির সুযোগ্য সন্তান পরশকে ও নিখিলকে শেখ হাসিনা দায়িত্ব দিয়েছেন। রাজশাহীতে যুবলীগের যত ইউনিট আছে তাদেরকে মাঠে, গ্রামে, নগর-বন্দরে গিয়ে জনমত গঠন করে হাসিনার বর্ণিল আগমনে ভরে দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে ও বিরোধী দলে থাকতে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে এসেছেন। তবে এবারের আগমনে বেশী আনন্দ ও উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। এর কারণ বাংলাদেশ বহু উন্নয়ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীকে বিএনপি এক সময় বলতো বিএনপির ঘাটি। এখন বিএনপি তাদের আর ঘাটি বলতে পারে না। আমরা ৭-১০ লক্ষ জনগণের সমাগম দেখিয়ে দেখিয়ে দিবো। শেখ হাসিনার এসে নির্দেশনা দিবেন সেই নির্দেশনায় নির্বাচন পর্যন্ত আমরা চলবো। সব সময় আমরা সচেতন থাকবো। আমরা আমাদের দেশকে আরো বহুদূর নিয়ে যেতে চাই।
যুবলীগের বিভাগীয় বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম কামাল হোসেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ কেন্দ্রীয় যুবলীগ, বিভাগীয় ও জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।