স্টাফ রিপোর্টার : দুই দিন ধরে রাজশাহীতে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। বইছে হিমেল হাওয়া। এর ফলে অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। এই শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে পদ্মাপাড়ের মানুষের জনজীবন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আবহাওয়ার কোন উন্নতির সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া দপ্তর।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে তাপমাত্রার পারদ আগের দিনের চেয়ে আরও নিচে নেমেছে। এ দিন ভোর ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি রাজশাহীতে চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগের দিন বুধবার ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল রাজশাহীতে। এটিও ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অফিসের হিসাব অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আর ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলো মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এছাড়া ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র এবং ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে অনুযায়ী দুদিন ধরে রাজশাহীতে চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
এদিকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আগের দিন বুধবার ভোরে রাজশাহীতে তেমন কুয়াশা ছিল না। কিন্তু বৃহস্পতিবার ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল প্রকৃতি। সকাল ১০টার পর রাজশাহীতে সূর্যের দেখা মেলে। তবে ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও শহরের ফুটপাতের দোকানগুলোতে গরম কাপড় কিনতে নিম্ন আয়ের মানুষের ভিড় দেখা গেছে। ভোরে কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ¦ালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করতে হয়েছে যানবাহনগুলোকে। শীত নিবারণে খড়কুটো জ¦ালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন অনেকেই।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, রাজশাহীতে কয়েকদিন ধরেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছিল। গত দুই দিনে তা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। আগের দিনের চেয়ে বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। রেকর্ড করা ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবারের মৌসুমে সর্বনিম্ন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গাসহ রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হয়ে যাচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হতে পারে।