চার্চে কোরআন রাখার পর ঈসা নবী দাবি করা ব্যক্তি আটক

53

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে বড়দিনের প্রার্থনার আগে এক ব্যক্তি খ্রিস্টানদের চার্চে পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে এসেছিলেন। পরে পুলিশ তাকে আটক করেছে। এই ব্যক্তি এখন নিজেকে ঈসা নবী দাবি করছেন। পুলিশ বলছে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এমন কাজ করে মিথ্যা কথা বলছেন তিনি।

এই ব্যক্তির নাম গোলাম চৌধুরী (৩৪)। রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোটবনগ্রাম নিউ কলোনিতে তার বাড়ি। তিনি রাজশাহী নিউমার্কেট এলাকার একটি ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করেন। রোববার দুপুরে তাকে সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশের একটি দল।

পরে বিকালে রাজশাহী নগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক নিজের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি জানান, রোববার ভোর ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে গোলাম চৌধুরী নগরীর উত্তম মেষপালক চার্চের প্রার্থনাস্থলে লাল কাপড়ে মোড়ানো একটি ব্যাগ রেখে চলে যান। চার্চের একজন সিস্টারের সন্দেহ হলে তিনি ব্যাগ খোলেন। এ সময় তিনি ব্যাগের মধ্যে একটি কোরআন শরীফ দেখতে পান। এরপর ওই সিস্টার গির্জার ফাদারকে বিষয়টি অবহিত করেন।

পরে ফাদার বিষয়টি নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা-পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ ওই চার্চ থেকে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। এরপর আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় কোরআন রেখে আসা ব্যক্তির পরিচয় এবং অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে পুলিশের একটি দল দুপুরে অভিযান চালিয়ে গোলাম চৌধুরীকে আটক করে।

পুলিশ কমিশনার জানান, যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন বড়দিনের ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা, ধর্মীয় পবিত্রতা বিনষ্ট করা এবং দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টির করার উদ্দেশ্যে গোলাম চৌধুরী গীর্জায় পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি নিজেকে ঈসা নবী বলে দাবি করেন। তার ওপর প্রতিনিয়ত ওহি নাজিল হয় বলেও দাবি করেন তিনি। গোলামকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হলে সেখানেও তিনি একই দাবি করেন।

আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক আরও বলেন, পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এড়ানো গেছে। গোলাম দেশব্যাপী দাঙ্গা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই কাজটি করেছেন। শক্ত ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

SHARE