স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে দুই ভুয়া সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহীর কাটাখালী থানার কাপাশিয়া এলাকার একটি চানাচুর ফ্যাক্টরি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তারা ওই চানাচুর ফ্যাক্টরিতে চাঁদাবাজি করতে গিয়েছিলেন। স্থানীয়রা তাদের ধরে র্যাবে খবর দেন।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন- রাজশাহী নগরীর বড়বনগ্রাম নামুপাড়া মহল্লার রনি আহম্মেদ (২৬) ও দিনাজপুরের কোতয়ালি থানার রামনগর গ্রামের বখতিয়ার শাহরিয়ার ওরফে নিলয় (১৯)। বখতিয়ার রাজশাহী নগরীর মহিষবাথান এলাকায় ভাড়া থাকেন। তাদের কাছ থেকে দৈনিক জনতার বাংলা লেখা একটি মাইক্রোফোন ও জিবিসি টিভি লেখা একটি মাইক্রোফোন জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া এ দুই ভুয়া সাংবাদিকের পরিচয়পত্রও জব্দ করেছে র্যাব।
দুজনকে কাপাশিয়া এলাকার রশিদ চানাচুর ফ্যাক্টরি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও রাজশাহীর পেশাদার সাংবাদিকরা তাদের চেনেন না। তাদের র্যাব গ্রেপ্তারের আগের একটি ভিডিওচিত্র পাওয়া গেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, ফ্যাক্টরি মালিক আবদুর রশিদ বলছেন যে রাতে দুজনে গিয়ে ফ্যাক্টরির দরজা ধাক্কাধাক্কি করেন। একরকম জোর করেই তারা ফ্যাক্টরিতে ঢুকে মোবাইলে ছবি তুলতে থাকেন। রশিদের ছেলে মো. আতিউল্লাহ বলেন, তারা কারখানার নেতিবাচক খবর ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই ভিডিওতে দুজনকে স্থানীয়দের প্রশ্নবানে নাস্তানাবুদ হতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা রনি ও বখতিয়ারের কাছে জানতে চান, রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের নাম। তারা জেলা প্রশাসকের নাম বলতে পারেন না। প্রশ্ন করা হয় রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনারের নাম। তারা সেটিও বলতে পারেননি। দুজন কারখানায় গিয়ে কাগজপত্র চাইলেও কারখানা চালাতে কী কী কাগজ প্রয়োজন সে প্রশ্ন করা হলেও তারা বলতে পারেননি। পরে তাদের র্যাব-৫ এর রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দলের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শুক্রবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানিয়েছে, রনি ও বখতিয়ার ভুয়া সাংবাদিক। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাদের দুজনকে রাজশাহীর কাটাখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।