স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাঘায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কাশেম মোহাম্মদ ওবাইদ এর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম,সময়মত অফিস না করা,শিক্ষকসহ অফিসের কর্মচারীদের সাথে অসদাচারণ এবং শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলার ৩১ জন প্রধান শিক্ষক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর মহা-পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ উপজেলা শিক্ষা অফিসে কোন কাজ নিয়ে গেলে তাঁদেরকে হয়রানি করা হয়। এছাড়া ওই অফিসে কর্মরত অন্যান্য স্টাফদের সাথে রুঢ় আচরণ করেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। অভিযোগ রয়েছে,উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুন্য পদে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রত্যয়ন নিতে গেলে শুরু হয় অর্থ বাণিজ্য। প্রত্যেকটা নিয়োগে শিক্ষা অফিসারকে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা দিতে হয়। তা না হলে তিনি নিয়োগ বোর্ডের তারিখ নির্ধারণ করেন না।
কালিদাসখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলী জানান,তাঁর প্রতিষ্ঠানে কয়েকটি শুন্য পদে নিয়োগ বোর্ড গঠনের বিষয়ে কথা বললে নানান অজুহাতে নিয়োগ বোর্ডের তারিখ নির্ধারণে টাল-বাহানা করেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রথীন্দ্রনাথ প্রাং জানান,পরে চারঘাট-বাঘার সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ শাহরিয়ার আলম এমপির হস্তক্ষেপে নিয়োগ বোর্ডের তারিখ নির্ধারণ করে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে উপজেলা স্কাউটস কমিটিকে কোন সহযোগিতা না করার অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা। কারণ হিসেবে শিক্ষকরা জানান,পদাধিকার বলে উপজেলা স্কাউটস কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহ-সভাপতি হবেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার । অথচ তাকে সহ-সভাপতি পদে না রাখার কারণে তিনি নানা রুপ মন্তব্য করা সহ-উপজেলা স্কাউট কমিটিকে কোন কাজে সহায়তা করেন না। যার সত্যতা স্বীকার করেন উপজেলা স্কাউট এর সাধারণ সম্পাদক ও জোতরাঘব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম। উপজেলা সোনাদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন বলেন,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের আর্থিক ও অফিসিয়াল অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে তাঁরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবর গত বছরের নভেম্বর মাসে ৩১ জন শিক্ষক সিল সম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন । তার পরেও তিনি কোন অদৃশ্য শক্তির বলে বহাল তবিয়তে অত্র উপজেলায় চাকরি করাসহ একের পর-এক অনিয়ম দুর্ণীতি করে চলেছেন তা আমাদের বোধগম্য নহে । তাঁরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঘুব শীঘ্রই শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ পাঠাবেন বলে জানান।
বাঘা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কাশেম মোহাম্মদ ওবাইদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি সরকারী বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে থাকি। তাদের অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।