ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলায় লড়ার ঘোষণা মিসরের

অনলাইন ডেস্ক : দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার করা গণহত্যার মামলায় সমর্থন ও লড়ার ঘোষণা দিয়েছে মিসর। রোববার (১২ মে) এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, “গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি হামলা, পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায়, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত— যার মধ্যে রয়েছে বেসামরিকদের ওপর সরাসরি হামলা, গাজার অবকাঠামো ধ্বংস এবং ফিলিস্তিনিদের পালানোয় বাধ্য করায় মিসর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।“

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে আরও বলেছে, দখলদার শক্তি হিসেবে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের যে দায়িত্ব আছে সেটি পালনের জন্য ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছে তারা।

আরও পড়ুনঃ   গাজা দখলে নেয়ার চেষ্টায় ইসরাইলের ওপর চাপ বৃদ্ধি ইউরোপের

এছাড়া গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছাতে এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত না করতে— আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ইসরায়েলকে যে নির্দেশনা দিয়েছে সেটি মানার জন্য ইসরায়েলকে আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মিসর।

এর আগে গতকাল মিসর জানায়, গাজার রাফাতে ত্রাণ পৌঁছাতে ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তারা। দেশটি আরও জানায়, গাজায় যে মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে সেটির জন্য তারা শুধুমাত্র ইসরায়েলকেই দায়ী করে।

আরও পড়ুনঃ   গাজায় ১৯৬ ত্রাণকর্মীকে হত্যা : নিরপেক্ষ তদন্ত চায় জাতিসংঘ

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত মাস ধরে চলা এই যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে কাজ করেছে মিসর। দুই পক্ষ যেন যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় সেজন্য কাতারের সঙ্গে মিলে একটি কাঠামোও তৈরি করেছিল তারা। হামাস মিসর ও কাতারের দেওয়া প্রস্তাব মানলেও ইসরায়েল এটি মানেনি। এর বদলে মিসরের বাধা সত্ত্বেও রাফাতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।