আইন অঙ্গনের উজ্জল নক্ষত্র ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক

অনলাইন ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব‍্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন বাংলাদেশের আইন অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। এদেশের মানুষ বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা তাকে গভীর শ্রদ্ধার এঙ্গ স্মরণ করবে।

এক বার্তায় শোক প্রকাশ করে একথা বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

রোববার (৪ মে) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।

মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের মামলা, জামায়াতের রেজিস্ট্রেশন মামলায় আইনি সহায়তা দেওয়াসহ আইন অঙ্গনে তার ভূমিকা এদেশের মানুষ বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

আরও পড়ুনঃ   মা হচ্ছে সন্তানের সব থেকে বড় শিক্ষক মাকে সম্মান করুন, ভালোবাসুন : আসাদ

তিনি তার পেশাগত জীবনের মূল্যবান সময় ব্যয় করেছেন দ্বিনের জন্য। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতাদের পক্ষে কোর্টে লড়াই করছেন নিঃস্বার্থভাবে। ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার কারণে তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ মেহেরবানিতে তিনি ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন এই আশা নিয়ে যে তিনি মজলুম জননেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের পক্ষে আইনি লড়াই করে তাকে মুক্ত করবেন।

তিনি আজহার ভাইয়ের মামলার শুনানির জন্য আপিল বিভাগে মেনশন করেছেন, অসুস্থ শরীর নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। আইনি প্রক্রিয়ার কারণে শুনানি বিলম্ব হওয়ায় তিনি আর শুনানি করে যেতে পারলেন না। তার জ্যেষ্ঠপুত্র ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী এ মামলার শুনানি করবেন।

আরও পড়ুনঃ   কাতারের আমিরের প্রতি জিয়া পরিবারের কৃতজ্ঞতা

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ১১ বছর পর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে আসেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় ফেরেন। ৬ জানুয়ারি তার জুনিয়র আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনে তাকে সংবর্ধনা দেন।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। এর আগে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে দাঁড়ান।