অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর খিলক্ষেতের মধ্যপাড়া এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে অভিযোগ পেয়ে ওই কিশোরকে আটক করে থানায় আনতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে খিলক্ষেত থানার তদন্ত কর্মকর্তাসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও ৭ থেকে ৮ জন পুলিশ সদস্যকে স্থানীয়রা আটকে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। আহতেরা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন খিলক্ষেত থানার ডিউটি অফিসার এএসআই ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, খিলক্ষেতে মধ্যপাড়া এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। তাকে আটক করার পর থানায় নেওয়ার পথে উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে অভিযুক্তকে নামিয়ে নেয় এবং পিটিয়ে হত্যা করে। একপর্যায়ে জনতা পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং হামলা চালায়।
এএসআই ইসমাইল আরও বলেন, রাত সোয়া ১২টা পর্যন্ত ৭ থেকে ৮ জন পুলিশ সদস্যকে এলাকাবাসী আটকে রেখেছে। আহতদের মধ্যে তদন্ত ওসিসহ পাঁচজনকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, খিলক্ষেত বটতলা সংলগ্ন বালুর মাঠে ৫ বছরের শিশুকে ১৬ বছরের কিশোর ধর্ষণ করে। এলাকাবাসী বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ধর্ষণকারীকে ধরে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা আটকে দিয়ে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলে।-আজকের পত্রিকা