তিন পেসারের ইনজুরি, ২৪ কোটি রুপি খরচ করেও কপালে হাত আইপিএল দলের

অনলাইন ডেস্ক : আইপিএলের বাকি আর এক সপ্তাহের কিছু বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগকে কেন্দ্র করে এখন সব দলই ব্যস্ত তাদের অনুশীলনে। বাকিদের মতো একই অবস্থা লখনৌ সুপার জায়ান্টসের। অস্ট্রেলিয়ান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার আর ভারতীয় সাবেক পেসার জহির খানের অধীনে খেলতে নামবে দলটা। তবে আসর শুরুর ১ সপ্তাহ আগে বেশ একটা বিপাকেই আছে দলটা।

পেস আক্রমণের জন্য চলতি আসরকে সামনে রেখে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপি খরচা করেছিল লখনৌ। সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিং অলরাউন্ডার মিচেল মার্শের জন্য ছিল ৩ কোটি ৪০ লাখ রুপি। সবমিলিয়ে খরচ ২৮ কোটির বেশি। কিন্তু এই পেস আক্রমণকে পাওয়া নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। তিন পেসার মায়াঙ্ক যাদব, আভেশ খান এবং মহসিন খানের কেউই নিশ্চিত না ঠিক কবে থেকে মাঠে নামতে পারবেন।

মায়াঙ্ক যাদব গত আইপিএলে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে খেলতে নেমে রীতিমত তাক লাগিয়ে দেন। তার বড় অস্ত্র ছিল গতি। ১৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে টানা বল করে হইচই ফেলে দেন মায়াঙ্ক। গেল আইপিএলে ২০ লাখ রুপি পারিশ্রমিক পাওয়া ফাস্ট বোলারকে এবার ১১ কোটি রুপিতে ধরে রেখেছিল দলটি। কিন্তু তাকে নিয়েই সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা।

আরও পড়ুনঃ   মিরাজ হবেন ভবিষ্যতের সাকিব, দাবি হাথুরুর

কিন্তু আইপিএলের প্রথম ভাগে খেলতে পারবেন না ভারতীয় ক্রিকেটের এই গতি তারকা। গেল বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর থেকেই তিনি মাঠের বাইরে। স্ট্রেসজনিত চোট থেকে সেরে ওঠার লড়াইয়ে আছেন মায়াঙ্ক। মাত্রই তিনি বোলিং শুরু করেছেন বেঙ্গালুরুর সেন্টার অব এক্সিলেন্সে। সবকিছু ঠিক থাকলে আইপিএলের দ্বিতীয় ভাগে দেখা যেতে পারে এই পেসারকে।

এদিকে ক্রিকবাজ বলছে হাঁটুর ইনজুরির কারণে বর্তমানে রিহ্যাবে আছেন আভেশ খান। মায়াঙ্ক যাদবের মতো তারও সময় পার হচ্ছে বেঙ্গালুরুর সেন্টার অব এক্সিলেন্সে। আপাতত সমস্যা সমাধানে ইনজেকশন নিচ্ছেন তিনি। রঞ্জি ট্রফিতে কেরালার বিপক্ষে মধ্যপ্রদেশের হয়ে সবশেষ খেলেছেন তিনি। চলতি বছরের শুরুর দিকে সবশেষ খেলেছিলেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট।

অন্য পেসার মহসিন খানের ইনজুরি নিয়ে অবশ্য বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। সবশেষ তিনি খেলেছিলেন বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচে। চন্দ্রিগড়ের বিপক্ষে উত্তর প্রদেশের হয়ে ৫ ওভার বল করে উঠে যেতে হয় তাকে। আগামী সপ্তাহের মাঝেই তিনি পুরো ফিট হয়ে উঠবেন কি না তা নিয়ে আছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুনঃ   বিপিএলের জার্সি যেন সমর্থকদের জন্য ‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ’

এছাড়া গত জানুয়ারিতে বিগ ব্যাশ খেলার সময় তিনি পিঠের নিচের অংশের ইনজুরিতে পড়েন মিচের মার্শ। এরপর শ্রীলঙ্কা সফর ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে যান এই তারকা অলরাউন্ডার। পরবর্তীতে আইপিএলেও মার্শের খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল। অবশেষে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে আইপিএলে খেলার অনুমতি পেয়েছেন তিনি। তবে শুধু একজন ব্যাটার হিসেবেই খেলতে হবে মার্শকে।

লখনৌর হয়ে এখন পর্যন্ত পেসার হিসেবে তাই টিকে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শামার জোসেফ এবং ভারতের আকাশ দীপ ও প্রিন্স যাদব। স্পিনে অবশ্য রবি বিষ্ণোই, মানিমারান সিদ্ধার্থরা ভরসা। দলে আর্শিন কুলকার্নি, শাহবাজ আহমেদের মতো অলরাউন্ডারও আছেন। রেকর্ড দামে দলে ভেড়ানো রিশাভ পান্তের অধীনে এবারের আসরে মাঠে নামবে লখনৌ সুপার জায়ান্টস।