‘অনলাইন ক্যাম্পেইন’ ঘোষণা দিয়ে অবরোধ তুলে নিলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

রাবি প্রতিনিধি : নারী নিপীড়ন, সহিংসতা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। তারা সড়কে আধাঘণ্টা অবস্থানের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে অবরোধ তুলে নেন।

সোমবার (১০ মার্চ) বেলা ১টার দিকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ও সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব।

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, আগামীকাল সারাদিন থেকে চোখে কালো কাপড় পরে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করবো এবং সবাই ‘We want justice, no more rapist’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অনলাইন ক্যাম্পেইন চালাবো।

অবস্থান কর্মসূচিতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহির আমিন বলেন, বাংলাদেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার বোনেরা নির্যাতিত হচ্ছে। এমন বাংলাদেশ আমরা চাই না। আমরা এমন এক বাংলাদেশ চাই, যেখানে আমাদের মা-বোনেরা নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারবেন। আমাদের মা-বোনদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। কোথাও কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে ১৫ দিনে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শাস্তি অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক হতে হবে, যাতে আর কেউ ধর্ষণের সাহস না দেখায়।

আরও পড়ুনঃ   আর কোনো শহীদের লাশ উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না : সারজিস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ১৫ দিন তদন্ত ৩০ দিনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে ডিএনএ সেম্পলিং মেশিন স্থাপন করতে হবে। এ ছাড়া বিচারকাজে কোনো রকম ফাঁকিবাজি চলবে না। কারোর রাজনৈতিক পরিচয়ে ছাড় দেওয়া চলবে না।

এদিকে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে উল্লেখ করে রাজশাহীর মতিহার থানার ওসি মো. আব্দুল মালেকে বলেন, শিক্ষার্থীরা বেলা ১টার দিকে তাদের অবরোধ তুলে নিয়েছেন। অবরোধ চলাকালে রাজশাহী খড়খড়ি বাইপাস রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করায় তেমন কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি।

আরও পড়ুনঃ   রাজশাহীতে হয়ে গেল সর্বজনীন পেনশন মেলা

এর আগে, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় তারা বিভিন্ন বিভাগ ও হল থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সমাবেত হন। পরে সেখান থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে জোহা চত্বর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের মহাসড়কে বেলা সোয়া ১২টার দিকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিলিত হয়। সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে সব বড় যানবাহন নগরীর খড়খড়ি বাইপাস হয়ে চলাচল শুরু করে। তবে কিছু ট্রাক আটকে থাকতে দেখা গেছে।