ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়ে চিঠি দিলেন ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক : ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনায় বসতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আলোচনায় বসতে চাওয়ার আগ্রহ জানিয়ে বৃহস্পতিবার ইরানের ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের চিরশত্রু ইরান আলোচনায় রাজি হবে বলে চিঠিতে নিজের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।

শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘আমি বলেছি, ইরান আলোচনায় যাচ্ছে বলে বলে আমি প্রত্যাশা করি। কারণ এটি ইরানের জন্য অনেক ভালো হতে চলেছে।’’

তিনি বলেন, আমার মনে হয়, তারা এই চিঠিটি পেতে চায়। অন্য বিকল্পটি হল, আমাদের কিছু করতে হবে। কারণ আপনি আর কোনও পারমাণবিক অস্ত্র পাবেন না।

আরও পড়ুনঃ   থাইল্যান্ডে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে শিক্ষাসফরের বাস, নিহত অন্তত ১৮

তবে ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের বিষয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। চিঠিটি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে সম্বোধন করে লেখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এছাড়া হোয়াইট হাউসও তাৎক্ষণিকভাবে এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। ট্রাম্প বলেন, ইরানকে দুইভাবে মোকাবিলা করা যেতে পারে; সামরিক পদক্ষেপ অথবা একটি চুক্তি করে।

তিনি বলেন, আমি একটি চুক্তিকে বেছে নেব। কারণ আমি ইরানকে আঘাত করতে চাই না। ইরানিরা দুর্দান্ত মানুষ।

দ্বিতীয় মেয়াদে গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান রাশিয়ার ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের অবসানে সমঝোতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইউক্রেনের ওপর তীব্র চাপপ্রয়োগ করছেন তিনি। ইউক্রেনে মস্কোর তিন বছরের যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের নেওয়া এই পদক্ষেপ পশ্চিমা মিত্রদের মাঝে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

আরও পড়ুনঃ   ১৭৯ যাত্রীর প্রাণহানি, মাথা নুইয়ে ক্ষমা চাইলেন জেজু এয়ারের সিইও

এর আগে, প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পর ২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তিনি ইরানের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি করতে চান; যা দেশটিকে পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নে বাধা দেবে।