তামিমের অবসর গ্রহণ নিয়ে যা বললেন ইমরুল-আশরাফুল

অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ ২০২৩ সালে খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর আর লাল সবুজের জার্সিতে দেখা যায়নি টাইগার এই ওপেনারকে। গতকাল শুক্রবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের অবসরের কথা জানিয়ে দিয়েছেন তামিম। বিদায়ের একদিন পর আজ শনিবার সিলেটে একসময়ের সতীর্থকে নিয়ে কথা বলেন ইমরুল কায়েস।

তামিম ইকবালের প্রসঙ্গে ইমরুল বলছিলেন, ‘ও(তামিম) যেদিন প্রথম অবসরের ঘোষণা দেয় আমি হতবাক হয়েছিলাম। হয়ত আবেগী সিদ্ধান্ত ছিল। আমি মনে করি, তামিম ইকবালের বাংলাদেশের ক্রিকেটে দেওয়ার আরো অনেক কিছু ছিল। ও(তামিম) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত খেললে হয়ত আমাদের দলের জন্য ভালো হতো। কিন্তু এটা ওর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমাদের এখানে কিছু বলার নাই। আমি তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।’

আরও পড়ুনঃ   ‘অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে খারাপ সিরিজ’, হোয়াইটওয়াশ হয়ে রোহিত

আরো ২-৩ বছর তামিম খেলতে পারতেন বলে মনে করেন ইমরুল, ‘খেলোয়াড় হিসেবে সে যখন স্টপ করেছিল ওইসময় থেকে খেলা চালিয়ে গেলে সে খেলতে পারতো (আরো দুই-তিন বছর)। তার যে পারফরম্যান্স নিজেকে ফিট রাখলে সে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সহজেই খেলতে পারতো, তার স্কিলের দিক থেকে কোন কমতি নেই। যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এখানে কিছু বলার নাই।’

মোহাম্মদ আশরাফুলও তামিমের অবসর নিয়ে কথা বলেছেন খানিক আক্ষেপের সুরে, ‘২০২৩ বিশ্বকাপের পর থেকেই তো সে(তামিম) বাংলাদেশ দলে খেলছে না। ২০০৬ সাল থেকে লম্বা একটা ক্যারিয়ার ছিল তার। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫-১৬ হাজার রান করেছে, বড় অর্জন। বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটারদের একজন। আমরা আশা করেছিলাম সে ফিরে আসবে কিন্তু সবারই নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা।’

আরও পড়ুনঃ   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ‘ভয়ংকর পিচ’ নিয়ে আতঙ্ক

তামিমের দেড় যুগের ক্যারিয়ারের প্রতিও সম্মান জানালেন আশরাফুল, ‘আমি মনে করি, আরো কয়েক মৌসুম আমরা তাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখব। অসাধারণ একজন খেলোয়াড় ছিলেন। বিশেষ করে নতুন বলে ব্যাটিং করা আমরা সবসময় র‍্যাংকিংয়ে ৯-১০ এ থাকতাম। সেখান থেকে টপ র‍্যাংকিংয়ের থাকা দলের বোলারদের খেলা চ্যালেঞ্জ ছিল সেখানে সফল হয়েছেন। অধিনায়ক হিসেবে ভালো করেছেন। সেরা ২-৩ জনের একজন। ১৭ বছরের অসাধারণ ক্যারিয়ারের জন্য তাকে স্যালুট দিতেই হবে।’