শ্রদ্ধা জানাতেে এফডিসিতে অঞ্জনার মরদেহ

অনলাইন ডেস্ক : শেষ শ্রদ্ধা জানাতেে চিত্রনায়িকা অঞ্জনার মরদেহ শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে আনা হয় নিজের কর্মস্থল এফডিসিতে। এরপর এফডিসি থেকে অঞ্জনার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বনানী কবরস্থানে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন অঞ্জনার পরিবার।

এদিকে প্রিয় নায়িকাকে শেষবারের মতো দেখতে ছুটে আসেন সহকর্মীরা। এসময় এফডিসিতে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। রাজধানীর বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে চিত্রনায়িকা অঞ্জনার মরদেহ। এই নিয়ে অভিনেতা মিশা সওদাগর জানান, ‘অঞ্জনাকে এফডিসিতে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে তার মরদেহ বানানীতে নেওয়া হবে। সেখানে তাকে সমাহিত করা হবে।’

আরও পড়ুনঃ   মধ্যরাতে কার সঙ্গে ডেটে গেলেন কারিনা

বিগত পনেরদিন ধরে রাজধানীর পিজি হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে ছিলেন অঞ্জনা রহমান। এর আগে ২৪ ডিসেম্বর নায়িকা অঞ্জনাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তার জ্বর ছিল।

অঞ্জনা রহমান তার ক্যারিয়ারে ৩ শতাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। ১৯৮১ সালে ‘গাংচিল’ এবং ১৯৮৬ সালে ‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

এছাড়া মোহনা (১৯৮৩), পরিণীতা (১৯৮৬) এবং রাম রহিম জন (১৯৮৯) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।

চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে তিনি একজন নামী নৃত্যশিল্পী ছিলেন। অঞ্জনার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্র দিয়ে। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত দস্যু বনহুর (১৯৭৬)। রহস্য ভিত্তিক এই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা।

আরও পড়ুনঃ   এবারের ঈদের ইত্যাদিতেও থাকছে বিদেশিদের নিয়ে চমক

১৯৭৮ সালে তিনি আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘অশিক্ষিত’ চলচ্চিত্রে নায়ক রাজ রাজ্জাকের বিপরীতে লাইলি চরিত্রে অভিনয় করেন। রাজ্জাকের বিপরীতে তিনি ৩০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

এছাড়া মোহনা (১৯৮৩), পরিণীতা (১৯৮৬) এবং রাম রহিম জন (১৯৮৯) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।