মুস্তাফিজের প্রশংসায় ইংলিশ কিংবদন্তি মাইকেল ভন

অনলাইন ডেস্ক : ক্যারিয়ারের লম্বা সময় নিজের ধৈর্য্যশীল ব্যাটিং দিয়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের বিরক্তির কারণ হয়েছিলেন মাইকেল ভন। লম্বা সময় ব্যাটিং করতে পারতেন অবলীলায়। প্রয়োজনে মারমুখী হতেও সময় নিতেন না। ইংলিশদের অধিনায়ক হিসেবেও ছিলেন বেশ সফল। তার কারণেই তো দীর্ঘ ১৮ বছর পর ২০০৫ সালে অ্যাশেজ জয় করেছিল ইংল্যান্ড।

ক্রিকেট ছাড়ার পর মাইকেল ভন ব্যস্ত ক্রিকেট বিশ্লেষকের কাজে। এবারের আইপিএলেও সেই ভূমিকায় আছেন তিনি। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের স্টুডিওতে বসে আলাপ করেছিলেন চলতি আসর নিয়ে। সেখানেই এবারের আসরের সেরা বোলার হিসেবে নাম নিয়েছেন মুস্তাফিজের। বললেন, এখন পর্যন্ত টাইগার এই পেসারের বোলিংয়েই সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ হয়েছেন তিনি।

টানা দুই জয়ে এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দুর্দান্ত এক শুরু করেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। আর বল হাতে দলের জয়ে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন মুস্তাফিজুর রহমান। চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বারামে দুই ম্যাচেই মুস্তাফিজ ছিলেন অনন্য। আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হিসেবে পার্পল ক্যাপ নিজের দখলে রেখেছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ   বাফুফের সভাপতি পদে অচেনা মিজানুর রহমান

সঞ্চালকের করা প্রশ্নে আসরের এখন পর্যন্ত সেরা বোলারের প্রশ্নে তাই ভনের পছন্দ দ্য ফিজ। টাইগার পেসারকে নিয়ে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘(সেরা বোলার হিসেবে) আপনি ফিজের কথা বলতে পারেন। কারণ সে ‍দুই ম্যাচে ৬ উইকেট পেয়েছে। ছোট করে আমি আন্দ্রে রাসেলের নামটাও যুক্ত করতে চাই। কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সে দারুণ বোলিং করেছে। কিন্তু আমি ফিজের কথা বলব। তার বোলিং আমার বেশি ভালো লেগেছে।’

ফিজদের বোলিং কোচ নিয়েও প্রশংসা ঝরলো ভনের কাছ থেকে, ‘এরিক সাইমন (চেন্নাইয়ের বোলিং পরামর্শক) পেসারদের নিয়ে দারুণ কাজ করছে। কারণ তারা বেশিরভাগ সময়ই পেসারদের নিয়ে বোলিংয়ের শুরুটা করে এবং সুইংও পায়।’

আরও পড়ুনঃ   বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে বেটিং করায় ৩ জন গ্রেফতার

বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ঘুরে এসে এবার আইপিএলের অন্যতম সফল দল চেন্নাই সুপার কিংসকে ঠিকানা বানিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সাম্প্রতিক সময়ে বল হাতে কিছুটা সংগ্রাম করা বাংলাদেশি এই পেসার চেন্নাইয়ের হয়ে দুই ম্যাচেই জ্বলে উঠেছেন। ৬ উইকেট নিয়ে তিনি আছেন উইকেটশিকারীর তালিকায় শীর্ষে।

চেন্নাইয়ের হয়ে প্রথম ম্যাচে যখনই ব্রেকথ্রু দরকার ছিল, তখনই আক্রমণে এসে সফল হয়েছিলেন মুস্তাফিজ। ২৯ রান খরচায় সেই ম্যাচে তিনি ৪ উইকেট নেন। এরপর হয়েছেন ম্যাচসেরাও। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুটা আশা জাগানোর মতো হয়নি টাইগার পেসারের। কিন্তু শেষ ভালো যার, সবটাই ভালো তার। মুস্তাফিজের বেলায়ও তাইই হলো। প্রথম দুই ওভারে ২৩ রান দেওয়া ফিজ, শেষ দুই ওভারে দিলেন মোটে ৭ রান। পেয়েছিলেন দুই উইকেট।