অনলাইন ডেস্ক : বহিরাগতদের নিয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করাসহ সচিবকে অবরুদ্ধ রাখার অভিযোগে দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেছেন সচিব অধ্যাপক হুমায়ূন কবীর। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের রাজপাড়া থানায় এই এজাহার দেওয়া হয়।
তবে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ। এজাহারে যে দুজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তাঁরা হলেন বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জাহিদুর রহিম এবং সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আমিনুল করিম। সম্পর্কে তাঁরা দুই ভাই। জাহিদুর রহিমের বিরুদ্ধে একজন সেবাগ্রহীতার সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপন, দুর্নীতি, অনিয়মসহ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে।
সচিব অধ্যাপক হুমায়ূন কবীরের দেওয়া এজাহারে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার দুপুরে জাহিদুর রহিম ও আমিনুল করিম বহিরাগত অন্তত ৩০ জন ব্যক্তিকে নিয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক অলীউল আলমের কক্ষে ঢোকেন। তাঁরা জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের ব্যাপারে বোর্ডের দেওয়া শাস্তির ব্যাপারে অন্যায় আবদার করেন। একপর্যায়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন এবং চেয়ারম্যানের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন। এ সময় চেয়ারম্যান কক্ষ থেকে বের হয়ে গেলে তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে প্রাণ বাঁচাতে চেয়ারম্যান অলীউল আলম সচিব হুমায়ূন কবীরের কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নেন।
এ সময় সেখানে সচিব ও চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর বিকেলেই অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বোর্ডে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় রাতেই বোর্ডের সচিব একটি এজাহার দিয়েছেন। তবে সেটি এখনো মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা রেকর্ড করার নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। তাই অভিযোগটির এখন প্রাথমিক তদন্ত করা হচ্ছে।’