সরকার দেশ শাসনের জন্য আসেনি, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে এসেছে: জামায়াত আমির

অনলাইন ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকার দেশ শাসনের জন্য আসেনি। তাঁরা এসেছে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘তাঁরা (অন্তর্বর্তী সরকার) দেশ শাসনের জন্য আসেননি, দেশ শাসনের সুষ্ঠু পথ বিনির্মাণের জন্য এসেছেন। তাঁদের কাজ হচ্ছে—জাতি পরপর তিনটি নির্বাচনে বঞ্চিত ছিল, জাতির সামনে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ উপহার দেওয়ার পথ তৈরি করা। এজন্য কিছু মৌলিক বিষয়ে তাঁদের সংস্কার করতেই হবে। কী কী মৌলিক বিষয়ে তাঁরা সংস্কার করবেন, আমরা সেই বিষয়ে কথা বলেছি। আগামী ৯ অক্টোবর আপনাদের মাধ্যমে আমাদের প্রস্তাবনাগুলো জাতির সামনে উন্মুক্ত করব। আমরা আমাদের চিন্তা জাতির সামনে তুলে ধরব কী কী সংস্কার এই মুহূর্তে প্রয়োজন, কী কী সংস্কার পরবর্তী পর্যায়ে আমাদের লাগবে।’

আরও পড়ুনঃ   পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘জনগণ এবং সরকার এক সঙ্গে কীভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে পারে, সকল ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারে—সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বর্তমান যে সরকার আছে তাঁরা কোনো ধরনের পক্ষ-বিপক্ষের মানসিকতা না নিয়ে, নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেশকে একটা ভালো পর্যায়ে নিয়ে নির্বাচন দিতে সক্ষম হবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুরু থেকে বলে আসছিলাম সংস্কারের জন্য সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই। সেই যৌক্তিক সময় কী হবে? এটা নিয়ে অচিরেই আমরা কাজ করব।’

আরও পড়ুনঃ   ছুটির দিনে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

জামায়াত আমির বলেন, দুর্গাপূজার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য করণীয় কী এমন একটি প্রশ্ন এসেছিল। আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। জনগণের সঙ্গে সরকারের পার্টনারশিপ লাগবে। জনগণের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও জনগণ যদি এক সঙ্গে কাজ করে একটা অভূতপূর্ব দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মের ভাই-বোনেরা উদ্‌যাপন করতে পারবে।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘সংস্কারের টাইমলাইন কী হবে? সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা দুইটা বিষয় দেশবাসীর কাছে চেয়েছি এবং সরকারের কাছে জানিয়েছি। একটা রোড ম্যাপ হবে সংস্কারের, আরেকটা নির্বাচনের। সংস্কার সফল হলে নির্বাচন সফল হবে। দুইটা বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।’