ঢাবিতে পিটিয়ে যুবক হত্যার ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থী আটক

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগের ঘটনায় চার শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

তারা হলেন,- ছাত্রলীগের সদ্য পদত্যাগ করা উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল মিয়া; মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন; পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মোত্তাকিন সাকিন এবং সাজ্জাদ।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছ ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, প্রক্টরিয়াল টিম চারজনকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেছে। আটক ৪ শিক্ষার্থী ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ইতোমধ্যে হল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামীকাল সকালে কমিটি চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দেবে।

আরও পড়ুনঃ   আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর

এর আগে গতকাল রাতে ফজলুল হক মুসলিম হলে গণপিটুনিতে তোফাজ্জল হোসেনের (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করেছে ঢাবি প্রশাসন। শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন শাহীন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান হলের শিক্ষার্থীরা তোফাজ্জলকে ছাত্রাবাস থেকে মোবাইল ফোন চুরি করেছে বলে সন্দেহ করার পর এই ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুনঃ   ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

ওই হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ মোহাম্মদ মাসুম গণমাধ্যমকে বলেন, তোফাজ্জলকে হলের ভেতরে আটকে রেখে মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। মব (জনতার আক্রশ) হামলার পর হল কর্তৃপক্ষ তোফাজ্জলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করে। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার পরিবর্তে প্রক্টরিয়াল টিম তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। পরে পুলিশের পরামর্শে তোফাজ্জলকে হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছে।