স্টাফ রিপোর্টার : ঈশ্বরদী-রহনপুর রুটে চলাচলকারী কমিউটার ট্রেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছি স্টেশনে আজ মঙ্গলবার সকালে দুই মিনিট যাত্রাবিরতি দেওয়া হয়েছে।
যাত্রাবিরতি দেখতে সকালে হাজারো মানুষ স্টেশনে উপস্থিত হন। নন্দনগাছি স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদের (চাঁদ) নেতৃত্বে এলাকাবাসী আন্দোলন করে আসছেন।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা কমিউটার ট্রেনটি নন্দনগাছি স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিলে ট্রেনের গার্ড, চালকসহ অন্য সহকর্মীদের মিষ্টি খাওয়ান আবু সাঈদ। এলাকাবাসী একে অপরকে মিষ্টি খাওয়ান।
এর আগে ১১ জুন এই স্টেশনের সংস্কার ও আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেলযোগাযোগ বন্ধ ছিল। আটকে পড়ে চারটি ট্রেন। পরে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. আবদুল আওয়াল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে নন্দনগাছি স্টেশনে কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
আজ সকালে নন্দনগাছি স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজ কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতির সুবিধা পেলাম। রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অতিসত্বর এই স্টেশন চালু করা হবে। এরপর আমরা মন্ত্রণালয়ে কথা বলে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির জন্য কাজ করব।’
স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, নন্দনগাছি ঐতিহ্যবাহী স্টেশন। ১২ জন কর্মচারীর মধ্যে মাত্র একজন কর্মচারী ছিলেন। এই স্টেশন থেকে কোনো টিকিট কাটার ব্যবস্থা ছিল না; স্টেশন মাস্টার ছিলেন না। আজ অন্তত কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা হয়েছে।
ট্রেনের যাত্রাবিরতি আন্দোলনের সমন্বয়ক রেজাউল করিম বলেন, ‘নন্দনগাছি স্টেশনের বয়স ৯৬ বছর। এই স্টেশন ঘিরে রাজশাহীর চারঘাট, বাঘা ও পুঠিয়া—এই তিন উপজেলার জনগণের যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক রয়েছে। এ রকম ঐতিহ্যবাহী একটা স্টেশনকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আজ কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতির মাধ্যমে আমরা আন্দোলনের সুফল পেতে শুরু করেছি। বাকি সুবিধা আদায়ের জন্য আমরা প্রয়োজনে আরও আন্দোলন করে যাব।’