অনলাইন ডেস্ক : কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ২৪ বছর পর কবর থেকে এক ব্যক্তির ‘অক্ষত’ লাশ পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। লাশটি এক নজর দেখার জন্য উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়ের ফকিরের হাট এলাকায় ভিড় করে মানুষ।
ফকিরের হাট মফিজিয়া আলিম মাদ্রাসার ভবন নির্মাণের জন্য মাটি খননের সময় শনিবার (১৪ জুন) বিকেল ৩টায় বাহের আলী নামে এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়। তিনি ওই এলাকার মৃত হাতিম শেখের ছেলে। বাবা-ছেলে দুইজনই ওই মাদ্রাসার দাতা সদস্য ছিলেন। বাহের আলী ওই প্রতিষ্ঠানের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী (দপ্তরি) ছিলেন।
জানা গেছে, ২০০১ সালে চাকরি থাকা অবস্থায় বাহের আলীর হঠাৎ জ্বর হয়। দুই দিন পর তিনি মারা যান। পরে তাকে মাদ্রাসার পাশে দাফন করা হয়। আজ বিকেলে মাদ্রাসার ভবন করার জন্য ফেকু দিয়ে মাটি খুঁড়লে তার অক্ষত লাশ পাওয়া। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে লাশটি এক নজর দেখার জন্য মানুষ ভিড় করে। পরে বিকেল ৫টায় ফকিরের হাট কেন্দ্রীয় কবর স্থানে সেটি দাফন করা হয়।
বাহের আলীর নাতি-নাতনি এনামুল হক, আকাশ, কানিজ ফাতেমা বলেন, আমার দাদা যখন মারা গেছে আমরা তাকে দেখতে পারিনি, আজ দেখলাম।
নাতি নাজমুল ইসলাম (৩০) বলেন, আমি যে দাদুকে আবার দেখতে পাব তা ভাবতে পারিনি। আল্লাহ যাইলে কি না করতে পারে। আমার দাদুর জন্য সবাই দোওয়া করবেন। আল্লাহ দাদুকে যেন বেহেশতবাসী করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন বলেন, অক্ষত লাশ পাওয়ার বিষয়ে অনেক খবর আমরা পাই। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন ‘যারা আল্লাহর রাস্তায় মারা যায়, তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত এবং কবরে আল্লাহ তাদের রিজিক দেন।’ তাই এটি অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়।
ফকিরের হাট মফিজিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সমশের আলী জানান, বাহের আলী আমার মাদ্রাসার দপ্তরির চাকরি করতেন। চাকরি করা অবস্থায় তিনি ২০০১ সালে মারা যান। আজ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বরাদ্দ থেকে একটি ভবন মাদ্রাসার নামে আসে। ভবনটির মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করলে ওই ব্যাক্তির অক্ষত অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়। পরে বিকেল ৫টায় লাশটি ফকিরের হাট কেন্দ্রীয় কবর স্থানের পাশে দাফন করা হয়েছে।