আরব মন্ত্রীদের গাজা সফরে বাধা ইসরাইলি চরমপন্থা : সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক : আরব লীগের মন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধিদলকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রবেশের অনুমতি না দিয়ে ইসরাইলি সরকার চরমপন্থা এবং শান্তিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ। সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থা ‘সৌদি প্রেস এজেন্সি’ এই খবর জানায়।

এসপিএ’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আম্মানে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রিন্স ফয়সাল।

রামাল্লায় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে দেখা করতে আরব প্রতিনিধিদলের জর্ডান, মিশর এবং বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে আম্মানে ওই যৌথ সংবাদ সম্মেলন হয়।

সৌদি বার্তা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে রিয়াদ থেকে এএফপি এই খবর জানায়।

এরআগে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানান, শনিবার ইসরাইল জানিয়েছে, তারা রোববারের পরিকল্পিত বৈঠকের অনুমতি দেবে না। ওই বৈঠকটি জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রীদের নিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

আরও পড়ুনঃ   গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ২৮ ফিলিস্তিনি

এই বিষয়ে সৌদি মন্ত্রী বলেছেন, ‘পশ্চিম তীরে কমিটির সফরে ইসরাইলের অস্বীকৃতি তার চরমপন্থা প্রদর্শন এবং শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টার বিরোধীতা করাকে বোঝায়।

ইসরাইলের এই অহংকার মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে আমাদের ইচ্ছাকে আরো শক্তিশালী করে।’

এদিকে, একজন ইসরাইলি কর্মকর্তার দাবি, আরব মন্ত্রীরা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি উস্কানিমূলক বৈঠকে অংশ নিতে গাজা সফরের পরিকল্পনা করছিলেন।

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, ‘এই সফরে বাধা দেয়া মানে, একটি ন্যায্য আরব-ইসরাইলি মীমাংসার যেকোনো সুযোগকে নষ্ট করা।’

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ফ্রান্স এবং সৌদি আরবের যৌথ সভাপতিত্বে ১৭-২০ জুন নিউইয়র্কে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ   ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে আরো বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

এই বৈঠক সম্পর্কে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি বলেছেন, সম্মেলনে গাজায় যুদ্ধবিরতির পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমিতে থাকা নিশ্চিত করার জন্য পুনর্গঠন পরিকল্পনা এবং তাদের উচ্ছেদের যেকোনো ইসরাইলি পরিকল্পনা ব্যর্থ করার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে।

এছাড়া এই সফর আটকানোর বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ইসরাইলি আরব আইনপ্রণেতা আয়মান ওদেহ বলেন, ‘আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রতিনিধিদলের লক্ষ্য ছিল গাজা যুদ্ধের অবসান। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভূমিকা বাড়ানো এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরির জন্য সৌদি-ফরাসি জাতিসংঘের উদ্যোগকে সমর্থন করা।’