অনলাইন ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। একই কারণে উত্তাল রয়েছে উপকূলীয় এলাকা। আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে জোয়ারের পানি। বৃষ্টিপাত আর নদীর মাধ্যমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে হাটহাজারী উপজেলার কয়েকটি সড়কও পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার মেখল বাদামতল, কামদর আলী চৌধুরীহাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে নিম্নচাপের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের বঙ্গোপসাগরবেষ্টিত সন্দ্বীপ উপজেলা। সাগর উত্তাল থাকায় বৃহস্পতিবার উপজেলায় চলাচলের সব কয়টি নৌপথ বন্ধ রাখে প্রশাসন। উপজেলার বেড়িবাঁধ ছুঁয়েছে সমুদ্রের পানি। উৎকণ্ঠায় রয়েছেন উপকূলের লোকজন।
বিআইডব্লিউটিএ চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, আপাতত সন্দ্বীপ রুটে নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার কাছে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম শেষ করতে পারে। এরপর এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অমাবস্যা ও গভীর নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চর ২ থেকে ৪ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। তখন ঝোড়ো হাওয়াও থাকতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।