ভারতে ফের করোনা সংক্রমণ, মিলেছে নতুন ৪ সাব-ভেরিয়েন্ট

অনলাইন ডেস্ক : ভারতে আবারো চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস। দেশটিতে কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ এখন ঊর্ধ্বমুখী। যদিও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল ড. রাজীব বেহল বলেছেন, বর্তমানে সংক্রমণের তীব্রতা খুব বেশি নয় এবং চিন্তার কোনো কারণ নেই।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নতুন কোভিড ভেরিয়েন্টগুলোর বিষয়ে ড. রাজীব বেহল বলেছেন, পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতের নমুনাগুলোর জিনোম সিকোয়েন্সিং থেকে জানা গেছে, নতুন ভেরিয়েন্টগুলো গুরুতর নয় এবং এগুলো ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্ট।

এই সাব-ভেরিয়েন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে এলএফ.৭ সিরিজ, এক্সএফজি সিরিজ,জেএন.১ সিরিজ এবংএনবি.১.৮.১ সিরিজ।

আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল আরো জানিয়েছেন, তারা অন্যান্য অঞ্চল থেকেও নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করছে, যাতে কোনো নতুন ভেরিয়েন্ট আছে কি না, তা চিহ্নিত করা যায়। ড. রাজীব বলেছেন, সংক্রমণের হার বাড়ছে। প্রথমে দক্ষিণ ভারত থেকে, তারপর পশ্চিম এবং এখন উত্তর ভারত থেকে। এই সমস্ত সংক্রমণকে ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভিলেন্স প্রোগ্রাম-এর মাধ্যমে নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ   গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা চলছেই, নিহত আরও ২৪ ফিলিস্তিনি

তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যদিও সংক্রমণ গুরুতর নয় এবং চিন্তার কোনো কারণ নেই, তবুও সতর্ক থাকা বুদ্ধিমানের কাজ। ইতোমধ্যে সারাদেশে এই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। সাধারণ জনগণের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এখনই কোনো বিশেষ পদক্ষেপ নেয়ার দরকার নেই।

ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, গত সপ্তাহে দিল্লিতে অন্তত ১০৪টি কোভিড-১৯ সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া কেরালা ও মহারাষ্ট্রে একই সময়ে যথাক্রমে ৪৩০ এবং ২০৯টি নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ   সিরিয়ায় হিজবুল্লাহ’র অবস্থান লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলা

এদিকে আইসিএমআর-এর মহাপরিচালক ডা. রাজীব চন্ডীগড়ে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

সারা ভারত থেকে মোট ১,০০৯টি সক্রিয় সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ১২টি, রাজস্থানে ১৩টি, উত্তরপ্রদেশে ১৫টি, তামিলনাড়ুতে ৬৯টি, কর্ণাটকে ৪৭টি এবং গুজরাটে ৮৩টি সংক্রমণ রয়েছে।

কেরালা, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকসহ একাধিক রাজ্যে নতুন সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে অধিকাংশ সংক্রমণ হালকা ধরনের এবং সেগুলো বাড়িতে আইসোলেশনের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।