ইসরাইলকে মোকাবিলায় একট্টা ইরান-পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক : গাজায় আগ্রাসন রুখতে এবার একট্টা হয়ে ইসরাইলকে মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান ও পাকিস্তান। ইসলামিক ঐক্য গড়ে তুলতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে আলোচনাকাল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ একথা বলেছেন।

ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনার উদ্ধৃতি দিয়ে তেহরান থেকে এএফপি এই খবর জানায়।

চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে হামলা চালায় ইরান। ‘সন্ত্রাসী আস্তানা’ লক্ষ্য করে হামলা চালানোর দাবি করে তেহরান। ওই ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নেরও হুঁশিয়ারি আসে উভয় পক্ষ থেকে।

তবে সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের সময় দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার বিষয়ে এগিয়ে আসে ইরান। এবার তেহরান সফরে গিয়ে ‘নতুন সূচনার’ ইঙ্গিত দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুনঃ   ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার মামলা বাতিল

তেহরান সফরে গিয়ে প্রথমে দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শেহবাজ। বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচিতে পূর্ণ সমর্থন দেবে পাকিস্তান। এছাড়া ইরান পাকিস্তান সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ রুখতে যৌথ পদক্ষেপেরও আহ্বান জানান তিনি।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, ইসলামাবাদ কখনোই তাদের ভূখণ্ডকে তেহরানের বিরুদ্ধে ব্যবহারের অনুমতি দেবে না। সংবাদ সম্মেলনে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে পশ্চিমা বিশ্বের নির্লজ্জ নীরবতার বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে পাকিস্তান ও ইরান ঐক্যবদ্ধ।

এরপর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির সঙ্গে বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। শেহবাজ বলেছেন, পাকিস্তান মুসলিম বিশ্বের মধ্যে ইসরাইল বিরোধী অবস্থানে অবিচল থেকেছে। একইসঙ্গে তিনি গাজায় ৫৪ হাজার মানুষের নিহত হওয়ার ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবতার ওপর এক ‘গভীর কলঙ্ক’ বলে আখ্যা দেন।

আরও পড়ুনঃ   সিরিয়ায় ইসরাইলি বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহত

জবাবে খামেনি বলেছেন, ইরান ও পাকিস্তান যৌথভাবে কাজ করলে গাজায় ইসরাইলি অপরাধ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব। খামেনি সীমান্ত নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা এবং ইকো সংস্কার সক্রিয়তা বৃদ্ধিতে পাকিস্তানকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

খামেনির সাথে শেহবাজের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য তিন বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ বিলিয়নে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।