অনলাইন ডেস্ক : ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের হোম ম্যাচ। জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালরিতে হামজাদের ম্যাচ দেখতে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ তুঙ্গে। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল আজ সকালে পল্টন ময়দানে বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের কুল-মিডিয়া কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনের পর বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
গত পরশু শনিবার রাত ৮ টার পর বাফুফের টিকিটিং পার্টনার টিকিফাই বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছিল। ঘন্টা তিনেকের মধ্যে সাইবার আক্রমণের শিকার হয়ে বাফুফে টিকিট বিক্রির কার্যক্রম আপাতত স্থগিত ঘোষণা করে।
বাফুফে সভাপতি আজ রাত ১০ টা থেকে পুনরায় টিকিট বিক্রি শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘বাফুফে সব সময় ইনোভেটিভ কাজ করে থাকে। প্রথমবার ভুল-ত্রুটি হতে পারে। এটা স্বীকার করে নিয়েছি। দু’টি একটি আইপি অ্যাড্রেস থেকে সাইবার আক্রমণ হয়েছে। এজন্য সাইবার ডাউন ছিল। টিকিট সংগ্রহ পর্যায় থেকে স্টেডিয়ামে প্রবেশ পর্যন্ত আমরা নজরদারি রাখব। ১০ জুন ম্যাচ এখনো অনেক সময় আছে। আমরা একটু সময় নিয়ে পুনরায় শুরু করছি। আশাবাদী আজ আবার রাত দশটা থেকে সাইট ও প্ল্যাটফর্ম অন হবে সীমিত পরিসর হলেও।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে সাধারণ গ্যালারীর আসন সংখ্যা ১৮ হাজার ৩০০। ক্লাব হাউজ ও ভিআইপি মিলিয়ে আরো হাজার চারেক। মাত্র ২২ হাজার আসন ক্ষমতা স্টেডিয়ামে চাহিদা অসীম। এ নিয়ে বাফুফে সভাপতির বক্তব্য, ‘স্টেডিয়াম গ্যালারী ১৮ হাজার এর বাইরে হাজার দু’য়েক। দুভার্গ্যজনক হলেও বাস্তবতা অনেক সমর্থকই সীমিত আসনের জন্য স্টেডিয়াম বাইরে থাকতে হবে। তাদের জন্য আমরা বাইরে ব্যবস্থা করব। বাফুফের পক্ষ থেকে আটটি বিভাগীয় শহরে ফ্যান জোন করা হচ্ছে। অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগেও করছে।’
হামজা চৌধুরি আসার পর বাংলাদেশের ফুটবলের উন্মাদনা অনেক উপরে। হঠাৎ ফুটবল উন্মাদনা হলেও বাফুফে সভাপতি তাবিথ এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার ফলই মন করছেন, ‘বাফুফে ফুটবল নিয়ে ধারাবাহিক কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় পুরুষ দলের পাশাপাশি নারী , কোচিং, রেফারি , ট্যাকিনক্যাল সব বিভাগেই আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি।’
এশিয়া কাপ বাছাইয়ে প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন মূল পর্বে খেলতে পারবে। বাংলাদেশের গ্রুপে ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকং চার দলেরই সমান এক পয়েন্ট এবং গোল ব্যবধানও শূন্য। তাই ১০ জুনের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বাফুফে সভাপতি,‘ আমি আশাবাদী এখনো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে। আমাদের গ্রুপটি বেশ টাফেস্ট। প্রতি দলেরই এক পয়েন্ট ও গোলও শূন্য। সিঙ্গাপুর ম্যাচের পর টেবিলের অবস্থান নিশ্চয়ই বদলাবে। আমি সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী।’
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার গ্রাসরুট সপ্তাহ চলছে। বাফুফে ইতোমধ্যে যশোরে শামসুল হুদা একাডেমীতে ৬০০ জন ক্ষুদে ফুটবলার নিয়ে অনুষ্ঠান করেছিল। ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বিএসজেএ মিডিয়া কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট গ্রাসরুট সপ্তাহের কর্মসূচি হিসেবে গণ্য করে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘ফিফা গ্রাসরুট সপ্তাহ চলছে। গ্রাসরুট মানেই শুধু ক্ষুদে ফুটবলার নয় নন ট্যাডিশনাল ফুটবলও অর্ন্তভূক্ত। সাংবাদিকদের এই টুর্নামেন্টের ছবি আমরা ফিফার গ্রাসরুটের জন্য পাঠাব।’