যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইয়েমেনের ৯ আল-কায়েদা সদস্য নিহত

অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে অন্তত নয়জন আল-কায়েদা সদস্য নিহত হয়েছেন। হতাহতদের পরিচয় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

দুবাই থেকে এএফপি এই তথ্য জানায়।

শনিবার আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ইয়েমেন সরকারের অস্থায়ী রাজধানী এডেন-এর সীমান্তবর্তী আবিয়ান প্রদেশের এক কর্মকর্তার জানিয়েছেন, হামলায় একজন স্থানীয় নেতাসহ অন্তত নয়জন নিহত হয়।

এক নিরাপত্তা সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় খাবার আল-মারাকশা এলাকার উত্তরে আল-কায়েদা নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি পাহাড়ি স্থাপনায় একযোগে হামলা চালানো হয়।

একজন স্থানীয় উপজাতীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমি পাঁচটি পোড়া মরদেহ দেখেছি এক জায়গায়। পাশে পড়ে ছিল জ্বলন্ত একটি গাড়ি।’

আরও পড়ুনঃ   লেবাননে যুদ্ধ থামানোর শর্ত যুক্তরাষ্ট্রকে জানাল ইসরায়েল

তিনি আরো জানান, অন্যরা মারা যান আলাদা একটি স্থানে।

যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে আল-কায়েদা ইন দ্য আরব পেনিনসুলা (একিউএপি)-কে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর সবচেয়ে বিপজ্জনক শাখা হিসেবে বিবেচনা করে আসছে।

২০০৯ সালে ইয়েমেন ও সৌদি আরবের আল-কায়েদা শাখা একত্রিত হয়ে একিউএপি গড়ে তোলে। ইয়েমেনের যুদ্ধাবস্থাকে কাজে লাগিয়ে গোষ্ঠীটি বিস্তার লাভ করে। ২০১৫ সাল থেকে দেশটিতে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন সরকারপন্থী জোটের লড়াই চলেছে।

এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র হুথিদের সঙ্গে একটি সমঝোতা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। ফলে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মার্কিন হামলা কিছুটা থামে।

আরও পড়ুনঃ   গাজা : ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের লাশ ছিড়ে খাচ্ছে কুকুর

২০২৩ সালের নভেম্বরে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরুর কিছুদিন পর হুথি বাহিনী রেড সি ও অ্যাডেন উপসাগরে জাহাজ হামলা শুরু করে। এর জবাবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী সামরিক অভিযান শুরু করে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন ইতোমধ্যেই লক্ষাধিক প্রাণহানির সাক্ষী হয়েছে। এটি বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকটের দেশ। ২০২২ সালে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় একটি ছয় মাসের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে সংঘর্ষের তীব্রতা কিছুটা কমে।