বাঘায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন গুরুতর আহত :আহতদের পাশে উএনও বাঘা

স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় বাস ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মি আক্তার।

সোমবার (১৯ মে-২৫) সকাল ৯ টায় বানেশ্বর-ঈশ্বরদী আঞ্চলিক মাহাসড়ক বাঘা পৌরসভার পুর্বে বানিয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন নাটোরের লালপুর উপজেলার বেরিলাবাড়ী জামতলা গ্রামের প্রবাসী এজাহার আলীর ছেলে শান্ত ইসলাম (২৬), তার স্ত্রী জামিউন বেগম (২৪) এবং কন্যা সন্তান তুরায়ফা ইয়াসমিন (০৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহত শান্ত ইসলাম প্রতিদিনের ন্যায় মোটরসাইকেলে যোগে মেয়েকে নিয়ে বাঘা উপজেলা সদর গ্রীন হ্যাভেন কিন্ডারগার্টেন স্কুলে যাচ্ছিলেন। এইদিন তার স্ত্রী জামিউন বেগমকে ডাক্তার দেখানো জন্য সঙ্গে নিয়ে ছিলেন। তারা বানিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সুপার সনি বাসের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জনই গুরুতর আহত হয়। এসময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের অবস্থা আশংকা জনক দেখা দিলে। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেকে) প্রেরণ করেন। বর্তমানে তারা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

আরও পড়ুনঃ   চারঘাটে আ'লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

আহতের আত্মীয় লাখি খাতুন বলেন, দুর্ঘটনায় শান্ত ইসলাম ও তার শিশু কন্যার ডান পা হাঁটু থেকে বিছিন্ন হয়ে গেছে। শান্ত ইসলাম একজন কম্পিউটার ব্যবসায়ী, তুরায়ফা গ্রীন হ্যাভেন কিন্ডারগার্টেন স্কুলেে নার্সারির শিক্ষার্থী। তার স্ত্রীর ডান হাত ও মাজার হাড় ভেঙে গেছে। আহতের নিকট আত্মীয় জানান, আহত সামিউন বেগম সাড় ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্ব।

স্থানীয়রা জানান,দুর্ঘটনা স্থল বানিয়াপাড়ায় আঞ্চলিক সড়কের ধারে আনোয়ার ভান্ডারীর ছেলে মাসুদ রানা ফুয়াদের ইটের স্তূপ রাখায় দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। মোটরসাইকেল চালক শান্ত ইসলাম ইঁটের স্তুুপের কারণে আগত বাসকে দেখতে না পাওয়াই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এবিষয়ে এলাকাবাসী প্রত্যক্ষদর্শীদের পক্ষ থেকে সড়কে রাখা ওই ইঁটের স্তুুপের মালিক মাসুদ রানা ফুয়াদের শাস্তির দাবী জানানো হয়।

আরও পড়ুনঃ   এনবিআইইউ-এর নতুন ট্রাস্টি শামা ওবায়েদ ইসলামের সাথে ইউনিভার্সিটির শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাক্ষাৎ

এঘটনার পর স্থানীয় জনতা সুপার সনি বাসটিকে আটক করে বাঘা থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে বাসকে জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) আ.ফ.ম আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাসটিকে জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে চালক পালিয়েছে। এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মি আক্তার জানান,আহতদের চিকিৎসা বিষয়ে খোঁজ- খবর নেয়া হচ্ছে। তাদের চিকিৎসা ব্যয়ভার বহনের জন্য আমার পক্ষ থেকে সর্বাত্বক চেষ্টা করা হচ্ছে।